• ঢাকা
  • |
  • শনিবার ১২ই শ্রাবণ ১৪৩১ দুপুর ১২:০৯:১৩ (27-Jul-2024)
  • - ৩৩° সে:

জলবায়ু ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানালেন পরিবেশমন্ত্রী সাবের চৌধুরী

চ্যানেল এস ডেস্ক: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় জলবায়ু ন্যায়বিচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  তিনি জলবায়ু পরিবর্তন জনিত অভিবাসন এবং পরিবেশগত অবনতির জটিল সমস্যা মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও সংহতির গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। মন্ত্রী বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন বহুপাক্ষিকতার জন্য একটি লিটমাস পরীক্ষা।মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বেলজিয়ামের লিজ শহরে এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ক্লাইমেট মোবিলিটিস নেটওয়ার্কের (ইসিএমএন) দ্বিতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে 'কলোনাইজিং দ্য ফিউচার: ক্লাইমেট জাস্টিস, ডেমোক্রেসি এন্ড মাইগ্রেশন গভর্ন্যান্স' শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ শুন্য দশমিক ৫ শতাংশ বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণে চেয়ে কম অবদানকারী দেশগুলির মধ্যে একটি, তবুও এটি বিশ্বের অন্যতম জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ।  জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের জন্য একটি অস্তিত্বের হুমকি।  কারণ এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে ১৭ শতাংশ উপকূলীয় এলাকা তলিয়ে যেতে পারে এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এক মিটার বৃদ্ধির ফলে ৪০ মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে।অনুষ্ঠানে ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের মহাসচিব ও মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্য রাখেন।  বেলজিয়ামের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এবং গবেষক ফ্রাঁসোয়া গেমেনের পরিচালনায় প্যানেলটি ইতিহাসবিদ এবং লেখক ডেভিড ভ্যান রেইব্রুক মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন।  এছাড়াও প্যানেলিস্টদের মধ্যে ছিলেন স্যান্ড্রিন ডিক্সন-ডেক্লেভ, ক্লাব অফ রোমের সহ-সভাপতি এবং আর্থ অল-এর নির্বাহী পরিচালক এবং সেন্ট্রাল ইউরোপের ইনস্টিটিউটের পরিচালক ক্যাটারিনা সেফালভায়োভা।  বেলজিয়াম,  লুক্সেমবার্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং ইইউতে মিশন প্রধান মাহবুব হাসান সালেহসহ দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।প্যানেলিস্টরা উত্তর দক্ষিণ বিভাজন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় আরও অর্থপূর্ণ পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা, আস্থা পুনর্গঠন এবং একটি ন্যায্য, আরও গণতান্ত্রিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক আন্তর্জাতিক শাসনের কথা তুলে ধরেন।  আলোচনায় বাংলাদেশের প্রথম সারির ভূমিকা, বিশেষ করে ক্ষয়-ক্ষতির বিষয়ে, প্যানেলিস্টরা প্রশংসা করেছেন।  প্যানেলিস্টরা বৈশ্বিক আর্থিক ও গভর্নিং মেকানিজমের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার বিষয়েও কথা বলেন।

-->