• ঢাকা
  • |
  • শনিবার ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১ দুপুর ০১:০৪:২১ (27-Apr-2024)
  • - ৩৩° সে:

থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ চুক্তি সই

চ্যানেল এস ডেস্ক: ব্যাংকক সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা তাভিসিনের আন্তরিকতাপূর্ণ একান্ত বৈঠক, দ্বিপক্ষীয় আলোচনা এবং দু’দেশের মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক ও একটি লেটার অভ ইন্টেন্ট স্বাক্ষরিত হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে থাইল্যান্ডের রাজধানীর গভর্নমেন্ট হাউজে বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ তথ্য জানান। দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এ সময় অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ক তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরুর জন্য একটি লেটার অভ ইন্টেন্ট স্বাক্ষরিত হয়। দেশের অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ব্যাংককে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল হাই এবং থাইল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. প্রাণপ্রী বাহিদ্ধা নুকারা প্রমুখ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ড. হাছান জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা তাভিসিনের অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথমে তারা একান্তে কথা বলেন, এরপর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যাসহ সবিস্তারে অনেকগুলো বিষয়ে আলোচনা করেছেন। থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের যে ভ্রাতৃপ্রতিম ও বন্ধুপ্রতিম সম্পর্ক, সেটা আরও জোরদার, বহুমাত্রিক ও বিস্তৃত করার ব্যাপারে দুই প্রধানমন্ত্রী গভীর আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন, বলেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বর্ণনা করার পাশাপাশি বাংলাদেশের ১০০টি ইকোনমিক জোন ও আইটি ভিলেজে থাই বিনিয়োগের  আহ্বান জানিয়েছেন। থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা চাইলে প্রয়োজনে বাংলাদেশে তাদের জন্য বিশেষ ইকোনমিক জোন করার কথাও বলেছেন। মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে আসা প্রায় ১.৩ মিলিয়ন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছেন। তাদের জন্য বাংলাদেশে যেসব সমস্যা উদ্ভূত হচ্ছে বৈঠকে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান ড. হাছান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ডেও অনেক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন, এখনো অনেকে আসছেন। থাইল্যান্ডও এই পালিয়ে আসা মানুষের ভারে জর্জরিত। এই সমস্যা সমাধানে উভয় প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন।  এ দিন গভর্নমেন্ট হাউজে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রদত্ত রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনারে থাই প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে ছিলেন। শেখ হাসিনা তার সৌজন্যে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার ব্যাংককে পৌঁছান। বৃহস্পতিবার ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন শেখ হাসিনা। সেখানে দেওয়া ভাষণে সব ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। সফর শেষে ২৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা।  

1 hour ago

ভোটের মাঠে আপ্লুত মোদি, ‘পরের জন্মে বাংলায় জন্মগ্রহণ করব’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট শুরু হয়েছে গত ১৯ এপ্রিল থেকে। চলমান ভোট যুদ্ধে ক্ষমতাসীন দলের প্রধানমন্ত্রী চষে বেড়াচ্ছেন নির্বাচনি ময়দান। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) জনসভা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মালদহের সাহাপুরের নিত্যানন্দপুরের মাঠে। সেখানে তীব্র গরমের মধ্যে বিজেপি কর্মীদের ভিড় দেখে আপ্লুত নরেন্দ্র মোদি। বলেন, আমি আপ্লুত। আমায় এত ভালবাসা দেওয়ার জন্য। আবেগপ্রবণ মোদি বলেন, আমার প্রতি আপনাদের উৎসাহ ও প্রেম দেখে আমি আপ্লুত। আপনারা এত ভালবাসা দিচ্ছেন যে মনে হয় আগের জন্মে আমি বাংলায় জন্মেছিলাম। বা পরের জন্মে আমি বাংলার কোনও মায়ের কোলে জন্মগ্রহণ করবো। নয়ত এত ভালবাসা কখনও পেতাম না। মোদি বলেন, এত লোক আজ সভায় এসেছেন যে এই মাঠে কুলাচ্ছে না। লোকজন রোদের মধ্যেই দাঁড়িয়ে আছেন। তাদের উদ্দেশ্যে আমি ক্ষমা প্রার্থী। কিন্তু আপনাদের বলছি, আপনাদের এই কষ্ট আমি বেকার যেতে দেব না। আমি উন্নতি করে আপনাদের ভালবাসা ফিরিয়ে দেব। তিনি বলেন, বাংলা রামকৃষ্ণ, স্বামী বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জায়গা। আমি বাংলাকে এইভাবে পিছিয়ে যেতে দেখতে পারবো না। তৃণমূলের মতো দুষ্টু দল থাকার পরও কেন্দ্রের সরকার বাংলার বিকাশের কাজ করে চলেছে। বিজেপি সরকারের প্রকল্পের জন্য আপনারা মুক্ত রেশন পাচ্ছেন। তৃণমূল ও বাম দলকে এক হাত নিয়ে তিনি আরও বলেন, একটা সময় ছিল বাংলা পুরো দেশের উন্নতিতে নেতৃত্ব দিত। সামাজিক, বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তি, দেশের বলিদানেও বাংলা নেতৃত্ব দিত। কিন্তু বাম-তৃণমূল তাদের শাসনকালে বাংলার সম্মান নষ্ট করেছে। উন্নতি বন্ধ করেছে। তৃণমূলের শাসনকালে একের পর এক প্রতারণা কাণ্ড, পাচার, দুর্নীতির কথা সামনে আসছে। দুর্নীতি তৃণমূল করে আর ভোগে বাংলা। একটাও কাজ এখানে কমিশন ছাড়া হয় না। এরা কৃষকদেরও ছাড়েনি। মান্ডিতে এক কুইন্টাল গম বেচতে গেলে বিচুলি খেয়ে নেয়। 

শনিবার ২৭শে এপ্রিল ২০২৪ দুপুর ১২:১০


মালয়েশিয়ায় ১৩৪ বাংলাদেশি গ্রেফতার
বৃহঃস্পতিবার ২৯শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বিকাল ০৩:০৪

শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসায় আফ্রিকান দেশগুলো
শুক্রবার ১৬ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ রাত ০৮:৩৪

কুয়েতে অবৈধ অভিবাসীদের জন্য বড় দুঃসংবাদ
রবিবার ২৮শে জানুয়ারী ২০২৪ সকাল ১১:৩৭