চ্যানেল এস ডেস্ক:
চামড়া খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। বর্তমান মূল্যস্ফীতি, শ্রমিকদের দৈনন্দিন জীবনযাপনের খরচ এবং ট্যানারি শিল্পের সার্বিক পারফরম্যান্স বিবেচনায় জরিপ ও গবেষণা করে এই প্রস্তাব দেয় সিপিডি।
শনিবার (৪ মে) সিপিডির ধানমন্ডির কার্যালয়ে ‘ট্যানারি শিল্পে ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনায় এই প্রস্তাব দেয় সিপিডি।
সভায় বক্তারা বলেন, চামড়া খাতে ন্যূনতম মজুরি ১৩ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও, অনেক প্রতিষ্ঠান তা মানছে না। তাছাড়া সময়মতো বেতন দেয়ার প্রবণতাও কমে যাচ্ছে। অধিকাংশ শ্রমিক বেতন পান মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। পাশাপাশি চামড়া খাতে নারী কর্মীদের অংশগ্রহণও খুবই কম বলে জানানো হয় সভায়।
এসময় আরও বলা হয়, ২০১৮ সালে এই খাতে প্রায় ১৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় ছিল, যা ২০২৩ সালে নেমে এসেছে ১২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে। তাছাড়া ট্যানারি সেক্টরের ব্যবসায়িক কর্মক্ষমতা কোভিডের পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরে আসেনি। বরং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আরও খারাপ হয়েছে।
বক্তারা জানান, চামড়া খাতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। ২০১৭ সাল থেকে ২০২৪ সাল সময়ের মধ্যে ২৭ শতাংশ খরচ বেড়েছে এখাতে। তাছাড়া ট্যানারির শীর্ষ দেশীয় পণ্যের ইউনিট খরচ ২৬ শতাংশ বেড়েছে।
সিপিডির প্রস্তাবনায় সহমত পোষণ করেন ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ। তবে বাংলাদেশ ট্যানার্স এসোসিয়েশনের (বিটিএ) চেয়ারম্যান মো. শাহীন আহমেদ বলেন, এই প্রস্তাব অবাস্তব। এই মজুরি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, শিল্পের কাঁচামালের দাম বেড়েছে, উৎপাদন খরচও বেড়ে গেছে। পাশাপাশি রফতানি কমেছে। তাই এই মজুরি বাস্তবায়ন কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
দেশের চামড়া খাতের শ্রমিক ও মালিকদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো। অন্যান্য খাতের তুলনায় এই খাতে মজুরি কাঠামোও ভালো। তবে এই খাতে কাজের পরিবেশ অন্যান্য শিল্পের চেয়ে একদমই ভিন্ন। এখানে অনেক শক্তিশালী কেমিক্যালের ব্যবহার হয়। তাই শ্রমিকদের খুব ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয় বলে উল্লেখ করা হয় সভায়।
মন্তব্য করুনঃ