• ঢাকা
  • |
  • রবিবার ১৫ই বৈশাখ ১৪৩১ রাত ১১:২৭:৫৫ (28-Apr-2024)
  • - ৩৩° সে:

২৬ মার্চ যেভাবে এলো স্বাধীনতা


মঙ্গলবার ২৬শে মার্চ ২০২৪ সকাল ১১:০৯



২৬ মার্চ যেভাবে এলো স্বাধীনতা

ছবি: সংগৃহীত

চ্যানেল এস ডেস্ক: 

দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ১৯৪৭ সালে জন্ম হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি নতুন রাষ্ট্রের। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তান ও পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) মধ্যে বৈরীতার হাওয়া দেখা যাচ্ছিলো শুরু থেকেই। বিশেষ করে অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী পশ্চিম পাকিস্তান ভাষাসহ চাকরি ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তানের সাথে বৈষম্যের আচরণ করতে থাকে। ২৩ বছর ধরে পশ্চিম পাকিস্তানের শাসন-শোষণ নির্যাতনের শিকার হয়ে বাঙালি জাতি প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। তাইতো ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র যুক্তফন্ট নির্বাচন, ৬২’র আন্দোলন, ৬৬’র ৬-দফা, ৬৯’র গণ-অভুত্থান এবং ৭০ এর নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ধাপে ধাপে অধিকার আদায়ের সংগ্রামে লিপ্ত হয়। যারফলশ্রুতিতে ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে পরিস্থিতি অনিবার্য সংঘাতের দিকে মোড় নেয়।  

পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী নিরস্ত্র বাঙালি জাতিকে চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়ার জন্য ২৫ মার্চ অপারেশন সার্চলাইটের নামে নৃশংস গণহত্যা চালায়। এবং স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। শেখ মুজিবুর রহমান ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে গ্রেপ্তার হবার আগেই ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাসা থেকেই স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।

বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা- “এটিই হয়ত আমার জীবনের শেষ বার্তা: আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন।” 

“আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছে, যাহার যাহা কিছু আছে, তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করো। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও।” শেখ মুজিবুর রহমান। 

শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার বার্তাটি পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসের ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে প্রচারের জন্য মধ্যরাতের কিছুক্ষণ পরে চট্টগ্রামে প্রেরণ করা হয়। মার্চ মাসের ২৬ ও ২৭ তারিখে চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র (পরের নামকরণ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র) থেকে বঙ্গবন্ধুর নামে স্বাধীনতার আরও দুটি ঘোষণা প্রচার করা হয়। এর একটি প্রচারিত হয় চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ হান্নান কর্তৃক এবং অন্যটি মেজর জিয়াউর রহমান কর্তৃক। 

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার মাধ্যমে সূচনা হয় রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের। নয়মাসব্যাপী সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পরএকাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ আত্মপ্রকাশ করে। তারপর থেকেই প্রতিবছর ২৬ মার্চকে পালন করা হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস হিসেবে। 

মন্তব্য করুনঃ


সর্বশেষ সংবাদ