চ্যানেল এস ডেস্ক :
এনজিও'র আড়ালে অবৈধ অভিবাসন! গেল এক যুগ ধরে এ অপকর্মে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। অবশেষে মার্কিন দূতাবাসের মামলায় গোয়েন্দা জালে চক্রের মূল হোতা।
একটু ভালো থাকার আশায় প্রতিবছর ইউরোপ আমেরিকা পাড়ি জমায় হাজারো মানুষ। এ জন্য কেউ কেউ নিচ্ছেন প্রতারণার নতুন নতুন কৌশল।
এমনই এক প্রতারণার ফাঁদ কথক একাডেমি। ভুয়া এই এনজিওটির মালিক আবুল কাশেম। সভা-সেমিনারে অংশ নেয়ার নামে টাকার বিনিময়ে কর্মকর্তা সাজিয়ে লোক পাঠায় বিভিন্ন দেশে। বিশ্বাস অর্জনে ওয়েবসাইটে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এক অতিরিক্ত সচিবকে গ্রুপ লিডার দেখানো হয়।
তথ্য বলছে, গেল এক যুগে অন্তত ৫০ জনকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছে ভুয়া এনজিওটি। যাদের কেউই ফিরে আসেননি দেশে। বিষয়টি নজরে এলে সম্প্রতি রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা করে মার্কিন দূতাবাস।
এর সূত্র ধরে অভিযানে নামেন গোয়েন্দারা। মেলে সত্যতাও।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান (অতিরিক্ত কমিশনার) হারুন অর রশীদ বলেন, কথক একাডেমি নামে বাংলাদেশে নিবন্ধিত কোনো এনজিও নেই। নাম সর্বস্ব এই এনজিও তথ্য আড়াল করে সবার কাছে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা দিয়ে অফার লেটার তার নামে নিয়ে এসে মার্কিন অ্যাম্বাসিতে জমা দেয়। এই রকমভাবে তারা কোটি কোটি টাকা কামাচ্ছে। তারা ওই দেশে গিয়ে বাংলাদেশে আর ফিরে আসে না।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, আবুল কাশেমের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৩১টি পাসপোর্ট।
মন্তব্য করুনঃ