• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ১৫ই চৈত্র ১৪৩০ সকাল ১১:২০:৫৫ (29-Mar-2024)
  • - ৩৩° সে:

আলোচিত দশ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনায় নিজের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না, দাবি উলফা নেতার


শুক্রবার ১৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সকাল ১১:৪৬



আলোচিত দশ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনায় নিজের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না, দাবি উলফা নেতার

ছবি : সংগৃহীত

চ্যানেল এস ডেস্ক :

বহুল আলোচিত দশ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনায় নিজের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না বলে দাবি করেছেন উলফা নেতা অনুপ চেটিয়া। তার ধারণা, হয়তো ভারতের কোনো বিদ্রোহী গ্রুপের জন্যই যাচ্ছিল অস্ত্রের চালানটি। জামিনে মুক্ত হয়ে আসামে এখন তিনি স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন। এমন দাবি করে অনুপ চেটিয়া জানান, মূলধারার রাজনীতিতে আগ্রহ নেই তার। সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এসব কথা জানান তিনি।

ভারতের নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম- উলফা। এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, দলটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেটিয়া, যার আসল নাম গোলাপ বড়ুয়া। উলফার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হলে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন তিনি। ১৯৯৭ সালে ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রায় ১৮ বছর কারাভোগের পর বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় ২০১৫ সালে তাকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করে বাংলাদেশ।

এরপর আসামে একমাস জেল খেটে জামিনে মুক্তি পান তিনি। শুরু হয় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে আলোচনা। তিনি জানান, ভারতের সংবিধানের আলোকেই সমস্যার সমাধান হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি বিদ্রোহের পথ ছেড়ে মূলধারার রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন অনুপ?

অনুপ চেটিয়া বলেন, মূলধারার রাজনীতিতে আমাদের কেউ কেউ ইতোমধ্যে জয়েন করেছে। তবে আমি আমার কথা বলতে চাই, আমি কখনো মূলধারার রাজনীতিতে আসবো না।

২০১৫ থেকে ২০২৩, আট বছর পর আবার বাংলাদেশে এসেছিলেন উলফার সাবেক নেতা। ঘুরে গেছেন তার কন্যা, বন্যা বড়ুয়ার শ্বশুরবাড়ি। সম্প্রতি বাংলাদেশি অনির্বান চৌধুরীর সঙ্গে বিয়ে হয় বন্যার।

২০০৪ সালের আলোচিত দশ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনায় তার নিজের বা উলফার কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে উলফা নেতা বলেন, আমি বলবো এটাতো খাওয়ার জিনিস না বা পরারও জিনিস না। অস্ত্র তো কেউ ব্যবহারের জন্য আনবে। উলফা এই অস্ত্র আনতে পারে আমি জানি না ব্যাপারটা। অন্য কোনো সংগঠনও আনতে পারে।

বাংলাদেশে কে বা কারা উলফার সাথে সম্পৃক্ত ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে কিছু পরিবার ছিল যাদের আত্মীয়-স্বজন আসামে ছিল। আসাম থেকে এখানে মাইগ্রেট হয়েছে। তাদের সাথে আমাদের একটা সম্পর্ক ছিল। অল্প কিছু পরিবারের সাথে আমাদের সম্পর্ক ছিল। তাছাড়া বাংলাদেশি কারোর সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না।

রোহিঙ্গাদের আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি মনে করলেও তার প্রত্যাশা, নতুন করে কোনো বিদ্রোহী গ্রুপ এই অঞ্চলে আর হবে না। তিনি বলেন, এই অঞ্চলে আর কেউ পারবে না। কারণ এখনকার পরিস্থিতির অনেক পরিবর্তন হয়েছে, অর্থনৈতিক পরিবর্তন হয়েছে। সেখানে আগেকার সেই দিন নেই, পরিস্থিতিও নেই।

মন্তব্য করুনঃ


সর্বশেষ সংবাদ