• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ১৫ই চৈত্র ১৪৩০ বিকাল ০৩:২৯:০৫ (29-Mar-2024)
  • - ৩৩° সে:

একের পর এক বাড়ছে বীজসহ কৃষি উপকরণের দাম


শনিবার ২৯শে অক্টোবর ২০২২ দুপুর ০২:২৩



একের পর এক বাড়ছে  বীজসহ কৃষি উপকরণের দাম

ছবি : সংগৃহীত

একের পর এক বাড়ছে কৃষি উপকরণের দাম। সর্বশেষ বাড়ানো হলো সব ধরনের বীজের দাম। বিএডিসির নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী সব বীজের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত।

বীজসহ কৃষি উপকরণের লাগামহীন দাম বৃদ্ধিতে এখন দিশেহারা কৃষক। কৃষি অর্থনীতিবিদদের মতে, এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয়ভাবে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি তো সম্ভবই নয়, বরং কৃষক জমি চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।

চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে তীব্র হচ্ছে খাদ্য সংকট। আর এর প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশেও। পরিস্থিতি সামাল দিতে, তাই স্থানীয়ভাবে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির তাগিদ আসছে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকেও।

কিন্তু উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য অন্যতম ভরসা কৃষি একং কৃষকের কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ। কৃষি উপকরণের চড়ামূল্যের বাজারে নতুন করে বীজের দাম বৃদ্ধিতে দিশেহারা কৃষক।

গত ১৮ অক্টোবর ধান, গম, ভুট্টা, সরিষাসহ বিভিন্ন শস্যবীজের নতুন দাম বেধে দিয়ে নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)। এতে ডিলার ও কৃষকদের আগের চেয়ে অনেক বেশি দামে কিনতে হবে। ধান থেকে শুরু করে গম, ভুট্টা, ডাল, সরিষাসহ বিভিন্ন ধরনের শস্যবীজ আছে দাম বৃদ্ধির তালিকায়। গবেষকদের আশঙ্কা, বীজসহ কৃষি উপকরণের দাম বৃদ্ধির ফলে কৃষক উৎপাদনে নিরূৎসাহিত হতে পারেন।

২০২২-২৩ বিতরণ বর্ষের জন্য ধানবীজের দাম প্রকারভেদে (১০ কেজির বস্তা) ৫৭০ থেকে ৭৫০ টাকা নির্ধারণ হয়। গত বছর চাষি পর্যায়ে এ দর ছিল ৫২০ থেকে ৬৩০ টাকা। ২০২০ সালে দাম ছিল ৪১০ থেকে ৫৮০ টাকা। দাম বেড়েছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। এসএল-৮এইচসহ অন্য সুপার হাইব্রিড জাতের ধান (১০ কেজির বস্তা) ডিলার পর্যায়ে ২ হাজার ৩০০ টাকা ও কৃষক পর্যায়ে ৩ হাজার টাকা। আমদানি করা এসএল-৮ ধানবীজ ডিলার পর্যায়ে ৫ হাজার ৬০০ টাকা ও কৃষক পর্যায়ে ৬ হাজার ২০০ টাকা।গত বছর এসএল-৮এইচসহ অন্য হাইব্রিড জাতের ১০ কেজি ধানবীজের দাম ছিল ডিলার পর্যায়ে ১ হাজার ৯৬০ টাকা ও চাষি পর্যায়ে ২ হাজার ৩০০ টাকা।

ক্ষেত প্রস্তুত থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলা সব ক্ষেত্রেই আছে বাড়তি খরচের বোঝা। আগে থেকে বেড়ে আছে সার ও জ্বালানির খরচ। এর সাথে যোগ হয়েছে অনাবৃষ্টি ও লোডশেডিং। দেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য এই মুহুর্তে কৃষকের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করাই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন অনেকে। 

আগামী সপ্তাহের মধ্যে বাড়তি দামের শস্যবীজ বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা করছে বিএডিসি।

মন্তব্য করুনঃ


সর্বশেষ সংবাদ