• ঢাকা
  • |
  • সোমবার ২২শে বৈশাখ ১৪৩১ রাত ১২:২৬:৩৫ (06-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

রাজধানীতে যত ভয়াবহ অগ্নি ট্র্যাজেডি, ১৫ বছরে ৩০০ নিহত


শনিবার ২রা মার্চ ২০২৪ বিকাল ০৫:০২



রাজধানীতে যত ভয়াবহ অগ্নি ট্র্যাজেডি, ১৫ বছরে ৩০০ নিহত

ছবি: সংগ্রহীত

চ্যানেল এস ডেস্ক: 

নীমতলী, চুড়িহাট্টা, বঙ্গবাজার ও নিউমার্কেটের অগ্নিকাণ্ডের দগদগে স্মৃতি না মোছার আগেই সর্বনাশের আগুনে পুড়েছে বেইলি রোডের গ্রিণ কোজি কটেজ নামক বহুতল ভবন । কেড়ে নিয়েছে ৪৬ জনের প্রাণ।তবে রাজধানীতে এমন আগুনের ঘটনা নতুন কিছু নয়। গত ১৫ বছরে বেশ কয়েকটি বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় অন্তত তিনশো জনের মৃত্যু, সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 

বসুন্ধরা সিটিতে আগুন লাগে ২০০৯ সালের ১৩ মার্চ। এ আগুনে প্রাণহানী না ঘটলেও পুরো ঢাকা শহরকে নাড়িয়ে দিয়েছিল তীব্রভাবে। এর পর পুরান ঢাকার নিমতলীর নবাব কাটরায় ২০১০ সালের ৩ জুন বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায় পাশের কেমিক্যালের গোডাউনে। মুহূর্তেই বেশ কয়েকটি ভবনে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। ভয়ংকর সেই আগুন পুড়ে নিহত হন নারী ও শিশুসহ ১২৪ জন।  আহত হন প্রায় অর্ধশতাধিক। পুড়ে যায় ২৩টি বসতবাড়ি, দোকান ও কারখানা। 

ঢাকা মহানগরীর উপকণ্ঠ আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকায় তাজরীন ফ্যাশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১১১ জন নিহত হন। ২০১২ সালে ২৪ নভেম্বরে ভয়ানক এ দুর্ঘটনায় কারখানার নয়তলা ভবনের ছয়তলা ভস্মীভূত হয়ে যায়। এতে সরাসরি আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যায় ১০১ জন পোশাকশ্রমিক। আগুন থেকে রেহাই পেতে উপর থেকে লাফিয়ে পড়ে মৃত্যু হয় আরও ১০ জনের। 

গরীব অ্যান্ড গরীব গার্মেন্টসে ২০১২ সালে লাগা আগুনে নিহত হন ২১ জন। এছাড়া হামীম গ্রুপের পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ২৯ জনের প্রাণহানী ঘটে। ২০১৩ সালের ২৮ জুন রাজধানীর মোহাম্মদপুরে স্মার্ট এক্সপোর্ট গার্মেন্টসে আগুনে পুড়ে ৭ নারী পোশাক শ্রমিক নিহত হন। 

২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ওয়াহেদ ম্যানশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ভবনে থাকা কেমিক্যালের কারণে মুহুর্তে ছড়িয়ে পড়ে আগুন আর এতে নিহত হন ৭১ জন এবং আহত হন কয়েকশ মানুষ। আগুন লাগার ১৪ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। 

বনানীর বহুতল বাণ্যিজিক ভবন এফআর টাওয়ারে ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ দুপুর ১টায় লাগা আগুনে ২৭ জনের মৃত্যু এবং শতাধিক আহত হয়। অগ্নিকাণ্ডের পর আগুন যখন দ্রুত অন্যান্য তলায় ছড়িয়ে পড়ে, তখন ভবনের ভেতর আটকাপড়া অনেকে ভবনের কাচ ভেঙে ও রশি দিয়ে নামার চেষ্টা করেন। এ সময় কয়েক জন  নিচে পড়ে মারা যান। 

মগবাজারে ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারী রাখি নীড় নামে একটি ভবনের নিচ তলায় বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১২ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন দুই শতাধিক ব্যক্তি। 

২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল ভোরে রাজধানীর বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে আশপাশের চার-পাঁচটি মার্কেট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও ক্ষতিগ্রস্ত হন ব্যবসায়িরা। একই বছর ১৫ এপ্রিল ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে ২২৬টি দোকান পুড়ে যায়। 

সর্বশেষ ২৯ ফেব্রুয়ারী রাতে বেইলি রোডের বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিবার আগুন লাগার পর নড়েচড়ে বসে সরকার। আশ্বাস  দেয়া হয়, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার। কিন্তু দৃশ্যপটে  খুব একটা পরিবর্তন  দেখা যায় না।অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রাজধানী যেনো মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে । 

মন্তব্য করুনঃ


সর্বশেষ সংবাদ