• ঢাকা
  • |
  • শনিবার ৭ই বৈশাখ ১৪৩১ রাত ০৮:৪৮:১৭ (20-Apr-2024)
  • - ৩৩° সে:

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতিতে উদ্বিগ্ন নয় সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী


শুক্রবার ২৬শে মে ২০২৩ সকাল ১১:৩৭



যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতিতে উদ্বিগ্ন নয় সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি সংগৃহীত

চ্যানেল এস ডেস্ক :

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সহায়তা করতেই যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। এ ঘোষণায় সরকার উদ্বিগ্ন বা চিন্তিত নয় দাবি করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এর ফলে ঢাকা ওয়াশিংটন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও প্রভাব পড়বে না। পাশাপাশি, এটির ব্যবহারে স্বচ্ছতা নিশ্চিত ও যথেচ্ছ প্রয়োগ যেন না হয়, ওয়াশিংটনকে সে অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা।

২৪ মে রাতে বাংলাদেশের জন্য ঘোষিত ভিসানীতি তিন সপ্তাহ আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকাকে জানিয়েছে ওয়াশিংটন। কিন্তু বিষয়টি এতোদিন প্রকাশ্যে না আসার ব্যাপারে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, তাদের পক্ষ থেকে আমাদেরকে অনুরোধ করা হয়েছিল যেন এটি আমরা প্রকাশ না করি। কারণ তারা এমনভাবে বিষয়টি উপস্থাপন করতে চেয়েছে যেন ভুল বার্তা না ছড়ায়।

কাতার সফর শেষে প্রথম কর্মদিবসের শুরুতেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানান, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সরকারের যে সদিচ্ছা, তার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এই উদ্যোগ।

আওয়ামী লীগ-বিএনপি ও জাতীয় পার্টি তিন দলের নেতাদের সাথে বৈঠকের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। ঘন্টাখানেক বৈঠক করেন নীতিনির্ধারকদের সাথে। পরে গণমাধ্যমে সংক্ষিপ্ত বিবৃতি দিলেও কোনো প্রশ্ন নেননি, পিটার হাস।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, আমরা এটি করেছি বাংলাদেশি জনগণের সমর্থনে, বাংলাদেশ সরকার, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং যারা বাংলাদেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন চায় তাদের জন্য। গতকালের ঘোষণাটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনের সহায়ক।

বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এই ঘটনায় চলমান সম্পর্কে কোনো ভাটা পড়বে না। কেবল সরকারের পক্ষে যে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়, তাও মনে করিয়ে দেন, নীতিনির্ধারকরা।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু করতে হলে শুধু সরকার ও নির্বাচন কমিশন চাইলেই হবে না। বিশেষ করে সকল রাজনৈতিক দলের আন্তরকিতা থাকতে হবে। যারা নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য জ্বালাও পোড়াও করে তারা হয়তো বিরত থাকবে।

সুষ্ঠু নির্বাচনে যারা বাধা কিংবা যারা ভোটে সহিংসতা করে এমন রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে সাবেক ও বর্তমান সরকারি কর্মকর্তা ও তাদরে পরিবারের সদস্যদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের সুযোগ আছে নতুন ভিসানীতিতে। 

মন্তব্য করুনঃ