আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে ইরানে বিক্ষোভ করেছে কয়েক হাজার মানুষ। দেশটির শীর্ষ সেনা কমান্ডার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, হামাসের বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদি ও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।
ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের কমান্ডার হোসেন সালামি তেহরানে বিক্ষোভ সমাবেশে বলেছেন, ‘ফিলিস্তিন যুদ্ধের পথে রয়েছে। ইসরায়েলকে পরাজয়ের সম্মুখীন হতে হবে। ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে শেষ হয়ে যাবে ইসরায়েল।’ ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভিতে কমান্ডার সালামির ওই বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
ইরানের রাজধানী তেহরানে স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার ওই বিক্ষোভ হয়েছে। এরপর বিক্ষোভ অন্যান্য শহরেও ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর বলছে, বিক্ষোভকারীরা গাজার নিপীড়িত শিশুদের পক্ষে স্লোগান দিয়েছেন। তাঁরা ‘ফিলিস্তিন একা নয়’ বলেও স্লোগান দিয়েছে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বলছে, ইসরায়েলের বিমান ও স্থল অভিযানে এ পর্যন্ত ১২ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৫ হাজার শিশু।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পাল্টা হিসেবে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। হামাসকে ধ্বংস করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, এ পর্যন্ত হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক। এ ছাড়া ২৪০ জনকে জিম্মি করা হয়েছে।
সালামি আরও বলেন, ‘যুদ্ধ শেষ হয়নি। ইসলামি বিশ্ব যা করা উচিত, তা–ই করবে। এখনো অনেক কিছু করার আছে।’ তবে এসব বক্তব্য দেওয়ার সময় সালামি যুদ্ধে ইরানের যুক্ত হওয়ার কোনো সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেননি। সালামি আরও বলেন, গাজায় নিপীড়িত মানুষের পক্ষ থেকে মুসলিম বিশ্ব প্রতিশোধ নেবে।
তেহরানে বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ান। এএফপির খবরে বলা হয়েছে, অনেক বিক্ষোভকারীর হাতে ব্যানার ছিল। তাতে লেখা ছিল ‘যুক্তরাষ্ট্র নিপাত যাক’, ‘ইসরায়েল নিপাত যাক’।
বিক্ষোভকারীদের অনেকে ইসরায়েলি পতাকা পুড়িয়ে দেন। বিক্ষোভকারীদের অনেকে ইরানের মিত্র লেবাননের হেজবুল্লাহ দলের পতাকা ওড়ান।
ইরানের সরকারি টিভিতে আরও দেখানো হয়েছে, বিশ্ব শিশু দিবসকে সামনে রেখে গত সোমবার বিক্ষোভকারীরা গাজায় কাফনে মোড়া শিশুদের মরদেহ বহন করছে। তেহরান ছাড়াও শিরাজ, কারম্যান ও ইসফাহান শহরেও এমন বিক্ষোভ হয়েছে।
মন্তব্য করুনঃ