স্পোর্টস ডেস্ক:
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১০ উইকেটে হেরেছে ভারত। প্রথমে ব্যাটিং করে মাত্র ১১৭ রানেই গুটিয়ে যায় ভারত। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ১১ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্মিথ বাহিনী। এই হারে টানা চার বছর ধরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট মিলিয়ে ১০ উইকেটে হারছে টিম ইন্ডিয়া।
গত চার বছর ধরে ১০ উইকেটের হার দেখছে ভারত। গত চার বছরে দুটি টি-টোয়েন্টি ও দুইটি ওয়ানডে ম্যাচে ১০ উইকেটের লজ্জার হার হেরেছে ম্যান ইন ব্রুরা। ২০২০ সালে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভারতকে ১০ উইকেটে হারিয়েছিল এই অস্ট্রেলিয়াই!। সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২৫৫ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল ভারত। জবাবে অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চ জোড়া সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান।
২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের কাছে ১০ উইকেটে হারে ভারত। পাকিস্তানি বোলারদের দাপটে ভারত ২০ ওভারে ১৫১ রান তুলেছিল। জবাবে দুই ওপেনার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটেই জিতে যায় পাকিস্তান। বাবর ৬৮ ও রিজওয়ান ৭৯ রানে অপরাজিত থাকেন।
এরপর আসে ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের কাছে সেমিফাইনালে ১০ উইকেটে হারতে হয় ভারতকে। ইংল্যান্ডের কাছে হেরে সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে যাওয়ায় ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের আশাও শেষ হয়ে যায়।
আর রোববার (১৯ মার্চ) বিশাখাপত্তনমে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে আবারও ১০ উইকেটে হারল ভারত। অজি পেসারদের দাপটে বিরাট কোহলিরা ২৬ ওভারে মাত্র ১১৭ রানে অলআউট হয়ে যায় রোহিত শর্মার দল। মিচেল স্টার্ক নেন ৫ উইকেট। জবাবে ১১ ওভারেই ম্যাচ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া। মিচেল মার্শ ৬৬ ও ট্রাভিস হেড ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন। এই ম্যাচে বলের হিসাবেও সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছে ভারতকে। ২৩৪ বল বাকি থাকতে ম্যাচ হারেন রোহিতরা। এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২১২ বলে হেরেছিল তারা।
মন্তব্য করুনঃ