ছবি: সংগৃহীত
চ্যানেল এস ডেস্ক:
সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর অদূরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নেভীর অপারেশন আটলান্টার একটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ইইউ নেভীর সামজিক যোযোগ মাধ্যম এক্সে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। সোমালিয়া উপকূলে জলদস্যু দমনে ‘অপারেশন আটলান্টা’ নামে কার্যক্রম পরিচালনা করছে সংস্থাটি।
ইইউ নেভাল ফোর্সের এক্সে ভিডিও চিত্র এবং কিছু স্থিরচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দেখা যায়, ইইউ নেভীর অপারেশন আটলান্টার মোতায়েন করা যুদ্ধজাহাজটি বাংলাদেশের জিম্মি জাহাজের কয়েক নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছে। যুদ্ধজাহাজ থেকে একটি হেলিকপ্টার জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের ওপর দিয়ে উড়ে যেতে দেখা যায়। সোমালিয়ার জলদস্যুরা গত ১২ মার্চ ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করে। জাহাজটি এখন সোমালিয়ার গদভজিরান উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে রেখেছে দস্যুরা।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইইউ নেভীর জলদস্যুতার ঝুঁকি প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ নভেম্বর থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত ২৫টি নৌযানে ছিনতাই ও ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছে জলদস্যুরা, যার মধ্যে বেশির ভাগই ছোট নৌযান। সর্বশেষ শুধু বাংলাদেশি জাহাজটিই এখন সোমালিয়ার দস্যুদের কাছে জিম্মি রয়েছে। জিম্মি জাহাজের কাছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেভীর যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের খবরের এক দিন আগে দস্যুরা মালিকপক্ষের সঙ্গে প্রথমবার যোগাযোগ করে।
এদিকে ইইউ নেভীর যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করলেও বাংলাদেশের সম্মতি ছাড়া বাংলাদেশি জাহাজে অভিযান চালানোর সুযোগ নেই। বাংলাদেশ সরকার ও জাহাজ মালিকপক্ষ এখন পর্যন্ত বাস্তবতার আলোকে জিম্মি জাহাজে সামরিক অভিযানের সম্মতি দেয়নি। কারণ, নাবিকদের নিরাপত্তাই প্রথম অগ্রাধিকার। তবে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের কারণে দস্যুদের ওপর একটা মনস্তাত্ত্বিক চাপ তৈরি হবে। এতে জিম্মি সমস্যার দ্রুত সমাধান হতে পারে।
Channel S (Sunshine Television Ltd.) 333 Segunbagicha, Ramna, Dhaka 1000, Bangladesh.
মন্তব্য করুনঃ