• ঢাকা
  • |
  • সোমবার ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ সকাল ০৮:০০:৪৮ (20-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

উপজেলা নির্বাচন ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা


বুধবার ৮ই মে ২০২৪ সন্ধ্যা ০৬:২৫



উপজেলা নির্বাচন ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা

ছবি: সংগৃহীত

চ্যানেল এস ডেস্ক: 

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে গণনা। এর আগে বুধবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। 

এদিকে, ভোটগ্রহণ শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলা নির্বাচনে শতকরা ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে।’ 

এরআগে সকাল ৮টায় শুরু হয় ভোটগ্রহণ। বৈরী আবহাওয়ায় সকালে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও, পরে কিছুটা বাড়ে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে নেওয়া হয় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পেরে খুশি ভোটাররা। তবে, কয়েকটি স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে সংঘর্ষ ও কিছু অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশসহ আহত হয়েছে কমপক্ষে ২৫ জন। অনিয়মের অভিযোগে কয়েকটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া, কয়েকজন প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারকে প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

নাটোরের তিনটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কড়া নিরাপত্তায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শেষে চলছে ভোট গণনা। নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হওয়ায় ওই উপজেলায় শুধুমাত্র ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হয়েছে। এছাড়া নাটোর সদর ও নলডাঙ্গা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অপরদিকে, তিনটি উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ১৪ জন এবং ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

হবিগঞ্জে ভোটগ্রহণ শেষে এখন গণনা চলছে। বিকাল ৪টায় নির্ধারিত সময়ের পরও অধিকাংশ কেন্দ্রে ভোটার থাকায় কিছুটা দেরিতে গণনা শুরু হয়। নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করা সম্ভব হবে। 

ঠাকুরগাঁওয়ের দুইটি উপজেলায় প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ শেষে গণনা চলছে। জেলার বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ৯০ কেন্দ্রের ৮০৮টি কক্ষে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল চারটায় ৪ টা ভোটগ্রহণ শেষে গণনা শুরু হয়। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় করছেন চারজন ও হরিপুর উপজেলার চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চারজন প্রার্থী। 

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৮২ হাজার ৯৫৪ ও মহিলা ৭৭ হাজার ৯০৯ জন। মোট ১ লাখ ৬০ হাজার ৮৬৩ জন ভোটার ও হরিপুর উপজেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজার ৪৯৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬২ হাজার ৩৬৯ ও মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৫৮ হাজার ১২৮ জন। 

রাজবাড়ীর পাংশা ও কালুখালী উপজেলায় নির্বাচনে ভোট গণনা শুরু হয়েছে। ভোট গ্রহণ চলাকালে জেলায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। 

উৎসবমুখর পরিবেশে শেরপুরের দুইটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা। নির্বাচনে কোন ধরনের সহিংসতা ও কেন্দ্র বন্ধের ঘটনা ঘটেনি। তবে সকাল থেকে ভোটার উপস্থিতি খুব কম লক্ষ করা গেছে। নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র‍্যাবের ৪ টিম, ৪ প্লাটুন বিজিবি, ১টিম ব্যাটালিয়ান আনসার, ১৯৭৯ জন আনসার ভিডিপি, ৪২৩ জন পুলিশ, ৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং ১৮জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছে। 

শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই উপজেলায় ৮৬টি ভোট কেন্দ্রে ২ লাখ ৩৬ হাজার ৪৩৯ জন ভোটার তাদের ভোট দিয়েছেন। 

এদিকে, ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই উপজেলায় ৫৫টি কেন্দ্রে ১ লাখ ৫২ হাজার ৩০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। 

টাঙ্গাইলে দুই উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে গণনা চলছে। প্রথম ধাপে টাঙ্গাইলের মধুপুর এবং ধনবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। বৃষ্টির কারণে ভোট গ্রহণের শুরুতেই ভোটার উপস্থিত কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি বাড়ে। নির্বাচনে দুই উপজেলায় ৮ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান ১১ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচন সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ করতে ৫ প্লাটুন বিজিবিসহ পর্যাপ্ত সংখ্যাক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। 

এদিকে, গোপালগঞ্জের ৩ উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর, কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ব্যালটে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। 

এই ধাপে জেলার ৩ উপজেলায় ৪৪জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৭জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৪ জন।  ২২৭ টি কেন্দ্রে মোট ৫ লক্ষ ৮৮ হাজার ৪২৯ জন ছিল। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৩ লক্ষ ৪৮২ জন, নারী ভোটার ২লক্ষ ৮৭ হাজার ৯৪২ জন এবং হিজড়া ভোটার রয়েছেন ৫ জন।  নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে বিজিবি,র‍্যাব, পুলিশ সহ আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন কেন্দ্রে টহল দেন। 

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে সারাদেশে মোট ১ হাজার ৬৩৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান ৬২৫ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে এ ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৮, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন করে অর্থাৎ মোট ২৮ প্রার্থী এরই মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। পাঁচ উপজেলায় তিন পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ১৫ জন। 

প্রথম ধাপের এই নির্বাচনে ভোটার প্রায় ৩ কোটি ১৪ লাখ। ভোটকেন্দ্র প্রায় ১২ হাজার। ভোটকক্ষ প্রায় ৭৮ হাজার। প্রতিটি সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ১৭ জন সদস্য ও গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ১৮ থেকে ১৯ জন করে নিরাপত্তা সদস্য থাকবে। দুর্গম এলাকায় সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২০ থেকে ২১ জন করে থাকবে নিরাপত্তা সদস্য। 

এদিকে, উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ভোটের আগের দিন নির্বাচনী এলাকাগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে নেমেছে ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি। সেই সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের ব্যালট বাক্সের নিরাপত্তাসহ ভোটদানে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সারা দেশে আনসার-ভিডিপির দেড় লাখ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। 

দেশের মোট ৪৯৫ উপজেলার মধ্যে নির্বাচন উপযোগী ৪৮৫ উপজেলায় চার ধাপে ভোট হচ্ছে এবার। সবশেষ ২০১৯ সালে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট হয় পাঁচ ধাপে। 

মন্তব্য করুনঃ


সর্বশেষ সংবাদ