চ্যানেল এস ডেস্ক:
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজনীতি ও নির্বাচনী মাঠে গুজব ছড়িয়ে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টির মাধ্যমে সাম্প্রদায়িকতার কার্ড খেলছে বিএনপি।
সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুরের এক সংবাদ বিবৃতিতে একথা বলেন, তিনি। বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দের চিরাচরিত মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম ও ত্যাগ-তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে এদেশের জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ভোটাধিকার সুরক্ষা দেওয়ার উদ্দেশে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগই সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করেছে। জনগণের ক্ষমতায়ন ও গণতান্ত্রিক চেতনাকে সমুন্নত রাখতে আওয়ামী লীগ বদ্ধপরিকর।
কাদের বলেন, আমরা প্রত্যাশা করি, সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ পরিবেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে এবং জনগণের মতামতের ভিত্তিতেই রাষ্ট্র ক্ষমতা পরিবর্তন হবে।
তিনি বলেন, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সন্ত্রাস ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের পথ বেছে নিয়েছে বিএনপি। সম্প্রতি পঞ্চগড়ে সংঘটিত আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলায় বিএনপি জড়িত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে ঘটনাকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
এসময় তিনি জানান, পৃথিবীর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রসমূহে যেভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশেও সেভাবেই সংবিধানের বিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিকভাবে সম্পূর্ণ স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। পৃথিবীর কোনো সভ্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে তত্ত্বাবধায়ক বা অনির্বাচিত ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর সরকার ব্যবস্থা নেই। সংবিধানকে নির্বাসনে দিয়ে নির্বাচনকে প্রতিহত করার পাঁয়তারায় যারা লিপ্ত তারা মূলত জনগণকে আড়ালে রেখে চিহ্নিত গোষ্ঠীর স্বার্থ-সংরক্ষণে ব্যস্ত। দেশের গণতান্ত্রিক চেতনার কোনো মানুষ তাদের এ অপরাজনীতির বাস্তবায়ন হতে দেবে না।
মন্তব্য করুনঃ