• ঢাকা
  • |
  • সোমবার ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১ রাত ০৮:১৩:৪৫ (29-Apr-2024)
  • - ৩৩° সে:

মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের জন্মদিন আজ

বিনোদন ডেস্ক: বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের ৯৩তম জন্মদিন আজ শনিবার। জন্মদিনে শহরের গোপালপুর হেমসাগর লেনের পৈত্রিক বাড়িতে সুচিত্রা সেন স্মৃতি পরিষদসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন তার আবক্ষমূর্তিতে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে। সুচিত্রাা সেন ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার ডাঙ্গাবাড়ী গ্রামের মামা বাড়িতে জন্ম নেন। তার শৈশব ও কৈশর কেটেছে পাবনার হেমসাগর লেনের পৈত্রিক বাড়িতে। তখন তার নাম রমা দাশগুপ্ত। বাবা ডাকতেন কৃষ্ণা। বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত। পাবনাতেই রমা দাশগুপ্তের পড়াশুনা বেড়ে ওঠা। তিনি শহরের মহাকালি পাঠশালা ও পাবনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। ১৯৪৭ সালে শিল্পপতি আদিনাথ সেনের ছেলে দিবানাথ সেনের সঙ্গে তার বিবাহ হয়। দিবানাথের মামা বিমল রায় ছিলেন তৎকালীন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনিই রমাকে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। দিবানাথের সম্মতিতে ১৯৫২ সালে শেষ কোথায় ছবিতে রমা দাশগুপ্তের প্রথম সিনেমায় পদার্পণ। এ ছবিতেই তিনি হয়ে উঠেন সুচিত্রা সেন যদিও ছবিটি মুক্তি পায়নি। ১৯৫৩ সালে উত্তম কুমারের বিপরীতে সাড়ে চুয়াত্তর ছবিতে অভিনয় করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন সুচিত্রা। ১৯৫৫ সালে দেবদাস ছবিতে অভিনয় করে পুরস্কৃত হন। ১৯৫৯ সালে দীপ জ্বেলে যাই ছবিতে নার্সের ভূমিকায় অভিনয় করে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেন। ১৯৬৩ সালে উত্তরফালগুনী ছবিতে মা মেয়ের দ্বৈত ভূমিকায় অভিনয় করেন। বিপরীতে ছিলেন বিকাশ রায়। তার শেষ ছবি হলো প্রণয়পাশা (১৯৭৮)। সারাজীবনে তিনি ৬২টি বাংলা ছবিতে অভিনয় করেছেন। হিন্দি ভাষায় সুচিত্রা সেনের সর্বজন প্রশংসিত ছবি হলো আঁধি (১৯৭৪)। সঞ্জীবকুমারের বিপরীতে তিনি অভিনয় করেন। তার অভিনীত অন্যান্য হিন্দি ছবি হচ্ছে মুসাফির, মমতা, বোম্বাই কা বাবু ইত্যাদি। জীবনে কম পুরস্কার পাননি তিনি। বেস্ট অ্যাকট্রেস অ্যাওয়ার্ড ছাড়াও ১৯৭২ সালে পেয়েছেন পদ্মশ্রী। ২০০৫ সালে তাকে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু তিনি অন্তরাল ভেঙে পুরস্কার নিতে রাজি হননি। ২০১২ সালে তাকে বঙ্গবিভূষণ পুরস্কার দেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। উত্তম কুমারের বিপরীতে সাড়ে চুয়াত্তর ছবিতে তিনি অভিনয় করেন। ছবিটি বঙ্গ অফিসে সাফল্য লাভ করে। বাংলা চলচ্চিত্রে উত্তম-সুচিত্রা জুটি আজও স্মরণীয় হয়ে আছে।