• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ১৪ই চৈত্র ১৪৩০ বিকাল ০৪:১৯:১১ (28-Mar-2024)
  • - ৩৩° সে:

ইউক্রেনের শস্যবাহী জাহাজ আটকে গেলো সুয়েজ খালে, ফের স্থবির নৌ-চলাচল


মঙ্গলবার ১০ই জানুয়ারী ২০২৩ বিকাল ০৩:৩৭



ইউক্রেনের শস্যবাহী জাহাজ আটকে গেলো সুয়েজ খালে, ফের স্থবির নৌ-চলাচল

ছবি : সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

আবারও সুয়েজ খালে জাহাজ আটকে পড়ার ঘটনা ঘটলো। সোমবার (৯ জানুয়ারি) এমভি গ্লোরি নামের একটি জাহাজ বিকল হয়ে মাঝপথে আটকে যায়। এতে প্রায় ৬ ঘণ্টা বন্ধ ছিল নৌ চলাচল। এর ফলে খালের দু’পাশে তৈরি হয় অর্ধ শতাধিক জাহাজের জট। খবর আল জাজিরার।

জানা গেছে, দু’সপ্তাহ আগে ইউক্রেনের ক্রোনোমোরস্ক বন্দর থেকে রওয়ানা দেয় মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি গ্লোরি। ৬৫ হাজার ৯৭০ মেট্রিক টন শস্য নিয়ে চীনে যাচ্ছিল গ্রিক প্রতিষ্ঠান প্রাইমেরা শিপিংয়ের জাহাজটি।

স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৬টায় ৭৩৮ ফুট দীর্ঘ এমভি গ্লোরি জাহাজটি সুয়েজ খালে প্রবেশ করে। দক্ষিণের পথে ৩৮ কিলোমিটার যেতেই ঘটে বিপত্তি। যান্ত্রিক ত্রুটির কবলে পড়ে থমকে যায় জাহাজটি। পথ আটকে যাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়ে নৌ চলাচল।

মাত্র কয়েক ঘণ্টায় খালের দু’দিকে তৈরি হয় ৫১টি জাহাজের জট। যা মনে করিয়ে দেয় প্রায় দু’বছর আগে সুয়েজ খালে আটকে যাওয়া বিশাল কন্টেইনার জাহাজ এভারগিভেনের কথা। ওই সময় টানা ছয়দিন বন্ধ ছিল সুয়েজ খালে যান চলাচল। দু’পাশে প্রবেশ পথে আটকা পড়েছিল ৩ শতাধিক জাহাজ। ১৩০০ থেকে ১২০০ ফুট দীর্ঘ জাহাজটি সরাতে বেগ পেতে হয় উদ্ধারকর্মীদের।

এবার অবশ্য ততটা ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। চারটি টাগবোট দিয়ে প্রায় ৬ ঘণ্টা চেষ্টায় সরিয়ে ফেলা হয় এমভি গ্লোরি। স্থানীয় সময় ১১টার দিকে সচল হয় নিয়মিত ট্রানজিট।

সুয়েজ খালের ওপর নির্ভরশীল বিশ্ব বাণিজ্যের ১২ শতাংশ। এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে পণ্য পরিবহন সহজ করেছে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত এই জলপথ। ১৮৫৯ সালে শুরু হওয়া সুয়েজ খাল খননের কাজ শেষ হয় ১৮৬৯ সালে। এভারগিভেন আটকা পড়ার ঘটনার পরই খাল প্রশস্ত করার প্রকল্প হাতে নেয় মিসর সরকার।

মন্তব্য করুনঃ


সর্বশেষ সংবাদ