• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ১৫ই চৈত্র ১৪৩০ বিকাল ০৪:১৪:০৯ (29-Mar-2024)
  • - ৩৩° সে:

আর্জেন্টাইন ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় এনজো ফার্নান্দেজ


বুধবার ১লা ফেব্রুয়ারি ২০২৩ দুপুর ১২:২৮



আর্জেন্টাইন ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় এনজো ফার্নান্দেজ

ছবি : সংগৃহীত

স্পোর্টস ডেস্ক :

রেকর্ড ১০৬ মিলিয়ন পাউন্ডে চেলসিতে যোগ দিয়েছেন বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টাইন তারকা এনজো ফার্নান্দেজ। দলবদলের শেষ দিনে ইতালিয়ান ক্লাব বেনফিকা থেকে ব্লুজ শিবিরে নাম লিখিয়েছেন এই মিডফিল্ডার। প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে একজন মিডফিল্ডারের ট্রান্সফারে নতুন রেকর্ডও গড়েছেন তিনি। এছাড়াও, গঞ্জালো হিগুয়েইনের রেকর্ড ভেঙে আর্জেন্টাইন ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় এখন এনজো ফার্নান্দেজ।

ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলি থেকে ৯০ মিলিয়ন ইউরোতে য়্যুভেন্তাসে যোগ দিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার হিগুয়েইন। এতদিন পর্যন্ত সেটিই ছিল কোনো আর্জেন্টাইনের সবচেয়ে বেশি মূল্যের ট্রান্সফার। কিন্তু সবাইকে ছাড়িয়ে এনজো এখন চূড়ায়।

কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডে চমক দেখান এনজো ফার্নান্দেজ। লিওনেল মেসির পর দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ আর্জেন্টাইন হিসেবে বিশ্বমঞ্চে গোলের কীর্তি গড়েন মেক্সিকোর বিপক্ষে। হন টুর্নামেন্টের সেরা তরুণ খেলোয়াড়।

মূলত কাতার বিশ্বকাপের পর থেকেই টাকার থলি নিয়ে এনজোকে দলে ভেড়ানোর চেষ্টায় ছিল ইউরোপের ক্লাবগুলো। তবে সেই দৌড়ে বরাবরই এগিয়ে ছিলো চেলসি। নতুন মালিক টড বেহলি এবং কোচ গ্রাহাম পটারের চোখ ছিল এনজোর ওপর। বেনফিকা কোচ রজার শিমিট ছাড়তে চাননি এনজোকে। তবে টাকার অংকটা উপেক্ষা করার মতো অবস্থাও ছিল না ক্লাব কর্তৃপক্ষের।

শেষ পর্যন্ত প্রিমিয়ার লিগের দলবদলের ইতিহাস নতুন করে গড়েই এনজো ফার্নান্দেজকে দলে ভেড়ালো ক্লাবটি। ২০৩১ সালের জুন পর্যন্ত সাড়ে আট বছরের চুক্তিতে ব্লুজ শিবিরে যাচ্ছেন এনজো। ২২ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডারের ইতোমধ্যে মেডিকেল টেস্টও সম্পন্ন হয়েছে।

বেনফিকায় তার থাকা হয়েছে মাত্র একটি বছর। আর্জেন্টাইন ক্লাব রিভারপ্লেট থেকে বেনফিকায় এসে তিনি খেলেছেন মোটে ২৯ ম্যাচ; গোল করেছেন ৪টি, এসিস্ট ছিল ৭টিতে। বিশ্বকাপে মেক্সিকোর বিপক্ষে তার অসাধারণ গোলটি তাকে নিয়ে আসে পাদপ্রদীপের আলোয়। তবে, লিওনেল মেসি তাকে চিনেছিলেন অনেক আগেই।

বিশ্বকাপের সময় দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আর্জেন্টিনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি বলেন, এনজোকে আমি খুব ভালো করেই জানতাম জাতীয় দলের আগেই! আমি ওর বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলেছি। ও বড় কোনো দলে খেলা প্রত্যাশা করে, ওর সেই যোগ্যতাও আছে। ও অসম্ভব সম্ভাবনাময় এক তরুণ ফুটবলার।

এনজো ফার্নান্দেজের প্রতিভা বিশ্ব প্রথমবারের মতো দেখে সবশেষ চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ স্টেজে। তার দারুণ নৈপুণ্যে পিএসজি ও য়্যুভেন্তাসকে পেছনে ফেলে গ্রুপ সেরা হয় বেনফিকা। সে সময়ই চেলসি ও লিভারপুলের নজর পড়ে তার ওপর, শেষ পর্যন্ত বিজয়ীর নাম চেলসি!

মন্তব্য করুনঃ