• ঢাকা
  • |
  • বুধবার ১১ই বৈশাখ ১৪৩১ রাত ০৯:১০:১১ (24-Apr-2024)
  • - ৩৩° সে:

যুক্তরাষ্ট্রের কেমব্রিজে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এখন একটাই দাবি, ‘জাস্টিস ফর ফয়সাল’


মঙ্গলবার ১০ই জানুয়ারী ২০২৩ বিকাল ০৩:৩৯



যুক্তরাষ্ট্রের কেমব্রিজে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এখন একটাই দাবি, ‘জাস্টিস ফর ফয়সাল’

No Caption

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

যুক্তরাষ্ট্রের কেমব্রিজে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সাঈদ ফয়সাল প্রিন্সের মৃত্যুর ঘটনায় আরও একবার মার্কিন পুলিশের বিরুদ্ধে অশ্বেতাঙ্গ নির্যাতনের অভিযোগ জোরালো হলো। ধর্ম-বর্ণ-জাতি নির্বিশেষে সকল অধিবাসীরাই এ ঘট্নার প্রতিবাদে বিক্ষোভে নেমেছেন। সোমবার (৯ জানুয়ারি) ‘জাস্টিস ফর ফয়সাল’ প্ল্যাকার্ড হাতে সিটি হলের সামনে মানববন্ধন করেন তারা। দাবি, সুষ্ঠু বিচারের। একই সাথে অশ্বেতাঙ্গদের নিপীড়ন বন্ধ করারও দাবি জানান তারা। খবর আনাদুলু এজেন্সি ও বোস্টন গ্লোবের।

এর আগে গত ৪ জানুয়ারি জরুরি নম্বরে কল দেন সিডনি স্ট্রিটের এক বাসিন্দা। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে সেখানে পৌঁছায় পুলিশ। তাদের দাবি, ধারালো অস্ত্র হাতে ঘুরছিলেন ফয়সাল। যদিও কাউকে হামলা বা হুমকির বিষয়টি স্পষ্ট নয়। আন্দোলনকারীরা বলছেন, গুলি না ছুঁড়ে ফয়সালকে বুঝিয়ে নিরস্ত্র করতে পারতো পুলিশ।

এ নিয়ে কাউন্সিল অন আমেরিকান ইসলামিক রিলেশনের (সিএআইআর) মুখপাত্র ফাতুমা মোহামেদ বলেন, ফয়সাল নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সাথে কোনো ধরনের সংঘাতে জড়ায়নি। এমনকি, সে কমিউনিটির কারো জন্যেও হুমকি ছিল না। তাকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে নিরস্ত্র করে আটক করা যেতো। আমাদের প্রশ্ন, কেনো গুলি করা হলো?

যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ বিভাগের বিরুদ্ধে আগেও কৃষ্ণাঙ্গদের অপরাধী চিহ্নিত করে হামলা চালানোর অভিযোগ আছে। যার জের ধরে ছড়ায় ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটারের মতো গণ-আন্দোলন। ফয়সালের বিষয়টি নিয়ে তাই তড়িঘড়ি জরুরি বৈঠক ডাকা হয় ক্যামব্রিজ সিটি হলে।

কেমব্রিজের মেয়র সুম্বুল সিদ্দিকী বলেন, বিক্ষোভকারীদের কষ্ট, বিভ্রান্তি ও স্বজন হারানোর বেদনা অনুভব করতে পারছি। পুলিশ বিভাগ খুবই আস্থাহীনতার পরিচয় দিয়েছে। জন্ম দিয়েছে নানা বিতর্ক-প্রশ্নের। কিন্তু ফয়সালের মৃত্যু ইস্যুতে শক্ত বুনিয়াদ নেই। তাই মেয়র হিসেবে আমারও দায়িত্ব রয়েছে। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না।

এ দিকে, পুলিশ বিভাগও সুষ্ঠু তদন্তের অঙ্গীকার করেছে। যদিও তারা বলছে, ধারালো অস্ত্র কেড়ে নেয়া যায়নি। কেমব্রিজের পুলিশ কমিশনার ক্রিস্টিন এলো বলেন, জনমনে আস্থা ফেরানোর সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে কেমব্রিজ পুলিশ বিভাগ। ভালোভাবে বুঝতে পারছি, মর্মান্তিক এই ঘটনার কারণে আমাদের প্রতি বিশ্বাস হারিয়েছে শহরবাসী। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সৈয়দ ফয়সালকে গুলিবিদ্ধ করা এবং ক্ষুব্ধ শহরবাসীর কথা শুনতে আগামী বৃহস্পতিবার উন্মুক্ত কমিউনিটি মিটিং ডেকেছে প্রশাসন এবং পুলিশ বিভগ। ক্যামব্রিজ পুলিশ বিভাগের প্রশিক্ষণ-প্রোটোকল ইস্যুতে ১৮ জানুয়ারি হবে বিশেষ বৈঠক।

মন্তব্য করুনঃ


সর্বশেষ সংবাদ