• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৬ই বৈশাখ ১৪৩১ রাত ০৮:৫০:৫৮ (19-Apr-2024)
  • - ৩৩° সে:

ব্রাজিলে সরকারি স্থাপনায় হামলার ঘটনায় চলছে গণগ্রেফতার


মঙ্গলবার ১০ই জানুয়ারী ২০২৩ বিকাল ০৩:৩৪



ব্রাজিলে সরকারি স্থাপনায় হামলার ঘটনায় চলছে গণগ্রেফতার

বিবিসি থেকে সংগৃহীত ছবি।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

প্রেসিডেন্টের বাসভবন, পার্লামেন্ট এবং সুপ্রিমকোর্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনায় হামলার ঘটনায় গণগ্রেফতার চলছে ব্রাজিলে। রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় অস্থায়ী ক্যাম্পগুলো থেকে সাবেক প্রেসিডেন্ট বোলসোনারোর সমর্থকদের উচ্ছেদও করছে নিরাপত্তা বাহিনী। সহিংসতার মূলহোতাদের খুঁজে বের করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট লুলা ডি সিলভা। বিশ্বনেতারাও নাশকতার এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।

সম্প্রতি ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় তাণ্ডব চালায় দেশটির সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান জেইর বোলসোনারোর সমর্থকরা। পার্লামেন্ট, প্রেসিডেন্ট ভবন এমনকি সুপ্রিম কোর্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনায়ও হামলা চালায় তারা।

হামলা-ভাঙচুরের পরই দেশটির রাজধানীজুড়ে চলছে ব্যাপক ধরপাকড়। এ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে দেড় হাজার আন্দোলনকারীকে। অস্থায়ী ক্যাম্পগুলো থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে বোলসোনারো সমর্থকদের। জোরালো করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

থমথমে এখন ব্রাসিলিয়ার পরিস্থিতি। যেকোনো মূল্যে, তাণ্ডবের নেপথ্যে যারা রয়েছে তাদের খুঁজে বের করার হুঁশিয়ারি প্রেসিডেন্ট লুলা ডি সিলভার। তার দাবি, আন্দোলনকারীদের খাবারের লোভ দেখিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে, পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে মূলহোতারা।

এক বিবৃতিতে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা ডি সিলভা বলেন, সহিংসতার মূলহোতারা আন্দোলনে আসেনি, যারা এসেছে তাদের অনেকেই ভুক্তভোগী। খাবার আর সাহায্যের লোভে তারা আন্দোলন করছে। কারা অর্থ দিচ্ছে, আর কারা ইন্ধন যোগচ্ছে তা বের করতে তদন্ত হবে। বিক্ষোভকারীদের খাবার সরবরাহ না করা হলে আন্দোলন কখনই এতো সময় স্থায়ী হতো না। যাদের আটক করা হয়েছে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা কারাগারেই থাকবে।

এদিকে, এমন সহিংস ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ। বিশ্বনেতারা বলছেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণতন্ত্রের ওপর আঘাত হানার মতোই। দোষীদের আইনের আওতার আনার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের।

এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, আইনকে সবার সম্মান জানানো উচিৎ। তাই, যারা আইন ভঙ্গ করে তাদেরও আইনের আওতায় এনে সাজা দেয়া উচিৎ। অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতোই ব্রাজিলে আইনের শাসন রয়েছে। তাই, তাদের গণতন্ত্র সমুন্নত রাখা উচিৎ।

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এ প্রসঙ্গে, আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ওপর সুস্পষ্ট একটি হামলা। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। আমি আমাদের রাষ্ট্রদূতকেও এ বিষয়ে বলেছি। আমরা প্রেসিডেন্ট লুলার সাথে কাজ করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।

প্রসঙ্গত, সরকারি স্থাপনায় হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) রাস্তায় নেমেছে প্রেসিডেন্টের সমর্থকরা। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তাদের

মন্তব্য করুনঃ


সর্বশেষ সংবাদ