• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৬ই বৈশাখ ১৪৩১ বিকাল ০৩:২৬:২৭ (19-Apr-2024)
  • - ৩৩° সে:

এক ম্যাচ হাতে রেখেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের সিরিজ জয়


রবিবার ২২শে জানুয়ারী ২০২৩ দুপুর ০১:২৯



এক ম্যাচ হাতে রেখেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের সিরিজ জয়

ছবি সংগৃহীত

স্পোর্টস ডেস্ক: 

বোলারদের অনবদ্য পারফরম্যান্সের সৌজন্য রাস্তাটা প্রস্তুতই ছিল। এরপর রোহিত শর্মা ও শুভমন গিলের অসাধারণ ফিনিশিং টাচে নিউজিল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিলো ভারত। 

প্রথম ওয়ানডের পরই ভারতের বোলিং নিয়ে শুরু হয়েছিল সমালোচনা।  দ্বিতীয় ম্যাচেই তার জবাব দিয়ে দিলেন বোলাররা। ভারতের সামনে এদিন মাথা তুলে দাঁড়াতেই পারলেন না কিউই ব্যাটাররা। 

গত ম্যাচে বড় সংগ্রহ গড়েও লড়াইটা শেষ পর্যন্ত হাড্ডাহাড্ডি হয়েছিল। ৩৪৯ রান করেও ১২ রানে ম্যাচ জিততে পেরেছিল ভারত। এই ম্যাচের পর বোলারদের পারফরম্যান্স নিয়ে কথা উঠবে সেটাই স্বাভাবিক। হয়েছিলও সেটাই। রায়পুরেই বদলে গেল সমস্ত চিত্রটা। মোহাম্মদ সামি, হার্দিক পান্ডিয়া ও ওয়াশিংটন সুন্দরের দাপুটে বোলিংয়ের সামনে মাত্র ১০৮ রানেই শেষ হয়ে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। 

সেই ম্যাচ জিততে ভারতকে অবশ্য খুব একটা অপেক্ষা করতে হয়নি। রোহিত শর্মার অর্ধ-শতক এবং শুভমন গিলের হাত ধরে ২০ ওভারের মধ্যেই ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ জিততেই ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ সম্পূর্ণ করবে দলটি। 

টস জিতে এদিন প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। রান তাড়া করার ক্ষেত্রেই দলকে পরীক্ষা করতে চেয়েছিলেন তিনি।  উইনিং কম্বনেশনই এদিন ধরে রেখেছিল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। বল হাতে প্রথম থেকেই বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন ভারতের বোলাররা। হার্দিক পান্ডিয়া, মহম্মদ সামি ও মোহাম্মদ সিরাজদের দাপটে ১৫ রানের মধ্যেই নিউজিল্যান্ডের ৫ উইকেট তুলে নিয়েছিল ভারত। ওপেনিং জুটি ভাঙেন হার্দিক পান্ডিয়া ও মহম্মদ সামি। এরপর একে একে শার্দুল ঠাকুর ও ওয়াশিংটন সুন্দররাও নিউজিল্যান্ডের ওপর চাপ বাড়াতে থাকেন। সামি একাই তুলে নেন ৩টি উইকেট। 

পাওয়ার প্লের মধ্যে এদিন সর্বোচ্চ উইকেট খোয়ায় নিউজিল্যান্ড। হার্দিকের শিকার এদিন ডেভন কনওয়ে ও মিচেল স্যান্টনার। ব্রেসওয়ের তাড়াতাড়ি সাজঘরে ফিরে গেলেও স্যান্টনার এদিনও বড় জুটি গড়ার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। তাকে সাজঘরে ফিরিয়ে সেই রাস্তাও বন্ধ করে দেন হার্দিক। 

জবাবে ব্যাট হাতে শুরু থেকেই দুরন্ত ছন্দে ছিলেন রোহিত ও গিল। ক্যারিয়ারের ৪৮ তম অর্ধশতক করেন রোহিত। ৫১ রানে তিনি যখন সাজঘরে ফেরেন সেই সময় ভারতের জয়টা ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। অবশ্য এদিন ১১ রানেই থামেন বিরাট কোহলি। তবে শেষপর্যন্ত ক্রিজে থেকে ভারতকে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন গিল। তিনি খেলেন ৪০ রানের ইনিংস।

মন্তব্য করুনঃ


সর্বশেষ সংবাদ