খোরশেদ আলম বাবুল, শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে অনিয়ম বেড়ে যাওয়ায় পাসপোর্টপ্রত্যাশীদের হয়রানী অনেকগুন বেড়েছে। অতিরিক্ত টাকা দিয়েও সময়মতো পাচ্ছেনা পাসপোর্ট।পাসপোর্ট অফিস থেকে সময়মতো পাসপোর্ট সরবরাহ দিতে না পেরে বিপাকে পড়েছে দালাল চক্র।
অনিয়মেরও হয়রানীর লাঘবে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু হয়েছে। ই-সেবা পুরোপুরি চালু হলে অনিয়ম ওহয়রানী কমে আসবে বলে জানিয়েছেন পাসপোর্ট অফিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা।পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের অভিযোগের ভিত্তিতে দালাল চক্রের সাথে কথাবলে জানাগেছে, ইতালীতে স্পন্সার ও কৃষি ভিসায় বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি নেয়ার কথা ঘোষণাদেওয়ায় অনেকেই জরুরী ভিত্তিতে পাসপোর্ট করার জন্য শরীয়তপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ভীড়জমায়। সেই সুযোগে পাসপোর্ট অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী-আনসার সদস্য ওদালাল চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে।
সেই সুযোগে পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকাহাতিয়ে নিচ্ছে সক্রিয় চক্রটি। অতিরিক্ত টাকা গুনেও সময়মতো পাসপোর্ট পাচ্ছে না পাসপোর্টপ্রত্যাশীরা। সময়মতো পাসপোর্ট না পেয়ে নানান ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।পাসপোর্ট অফিস সূত্র জনায়, চলতি বছরের ২৬ মার্চ থেকে ২৭ আগস্টপর্যন্ত ৫ মাস (করোনার কারনে) পাসপোর্ট অফিস বন্ধ ছিল। এখন পাসপোর্টের চাহিদা বেড়েছে।এই পর্যন্ত ৩ হাজার পাসপোর্ট পেন্ডিং রয়েছে। এখন ই-সেবা কার্যক্রম চালু হয়েছে পাসপোর্টপ্রত্যাশীদের হয়রানী অনেক অংশে কমবে। পাসপোর্ট পত্যাশী ভেদরগঞ্জের পুটিয়া এলাকার তাছলিমা জানায়, সেগত ১৪ অক্টোবর ১০ হাজার টাকা চুক্তিতে একজন দালালের মাধ্যমে জরুরী ভিত্তিতে পাসপোর্টকরতে দেন।
অফিস থেকে পাসপোর্ট সরবরাহের তারিখ জানিয়ে দেয় ২৫ অক্টোবর। রির্ধারিততারিখে পাসপোর্ট সরবরাহ করা হয় নাই। সেই থেকে আজ ২৪দিন অতিরিক্ত সময় অতিবাহিত হয়েছে।খোঁজ খবর নেয়ার জন্য মাঝেমধ্যেই পাসপোর্ট আফিসে আসেন তিনি। এমনকি (১৮ নভেম্বরবুধবার) আজও এসে পাসপোর্টের কোন সন্ধান পাইনি। সময়মতো পাসপোর্ট না পাওয়ায় তিনি বড়ধরণের ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন। একই ধরনের সমস্যায় পড়েছেন জাজিরা উপজেলার জয়নগর এলাকারজিয়াউর রহমান, নড়িয়া উপজেলার বিঝারী গ্রামের শেখ রাসেলসহ হাজারও মানুষ।
তবে একটুব্যতিক্রমী ঝামেলায় পড়েছেন গোসাইরহাট উপজেরার নলমুড়ি এলাকার মো. সাগর মিয়া। তিনি গত৫ অক্টোবর জরুরী পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য অতিরিক্ত টাকা গুনে সকল কার্যক্রম শেষ করেন।পাসপোর্ট অফিস থেকে জানিয়ে দেয়া হয় ১৪ অক্টোবর তার পাসপোর্ট সরবরাহ করা হবে।নির্ধারিত সময়ের চাইতে ১ মাস ৫ দিন বেশী সময় অতিবাতিহ হলেও সে অদ্যবধি পাসপোর্টপায়নাই। তিনি দুঃখ করে জানায় প্রায় সপ্তাহখানেক পূর্বে এসএমএস এম মাধ্যমে তিনি জানতে পেরেছেন তার পাসপোর্ট সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবার পাসপোর্ট অফিসে গেলে পাসপোর্ট সরবরাহেরদায়িত্বরত ব্যক্তি তার সাথে খারাপ আচরণ করেছেন।পাসপোর্ট অফিসের একজন দালাল জানায়, তার জরুরী কিছুপাসপোর্ট আটকা পড়েছে। নিজের ব্যবসায়ীক সুনাম রক্ষার জন্য ঢাকা আগারগাঁও অফিসে গিয়েকয়েকটি পাসপোর্ট ছাড়িয়ে এনেছেন তিনি। এখন তিনি অনেকটা চাপমুক্ত।পাসপোর্ট অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক শেখ মাহাবুর রহমানবলেন, ইতোমধ্যে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম উদ্বোধন হয়েছে।
আগামী মাস থেকে হয়তো পুরোপুরিই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু করা যাবে। তখন পাসপোর্ট প্রত্যাশী অনলাইনে আবেদন করবে। কখনকোথায় তার আঙ্গুলের ছাপ নেয়া হবে তা জানিয়ে দেয়া হবে। তখন অনিয়ম ও হয়রানী শতভাগকমে যাবে।আগামী পর্বে জানবেনঃ-দালালের পরিচয়, কিভাবে দালালি করে,পাসপোর্ট অফিসের লোকজন কিভাবে দালালের মাধ্যমে ফাইল ও টাকা গ্রহন করে।