ছুটির দিনেও উত্তাল ছিল দেশটির বিভিন্ন শহর।
এ অবস্থায় জান্তা সরকার প্রধান মিন অং হ্লাইং জানিয়েছেন, সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধে সংযত আচরণ করছে নিরাপত্তারক্ষীরা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে কোনভাবেই দমানো যাচ্ছে না বিক্ষোভ।
এদিকে বিক্ষোভে অংশ নেয়ার অভিযোগে গৃহবন্দি করা দুই অস্ট্রেলীয় নাগরিককে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
তবে তাদের দ্রুত মিয়ানমার ত্যাগ করে নিজ দেশে ফিরে যেতে বলা হয়েছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি তাতমাদাও নামে পরিচিত মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থান ঘটায়
এবং প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চিসহ রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেপ্তার করে।
সাথে সাথে দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয় গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিতর্কের জেরে এই অভ্যুত্থান ঘটায় সামরিক বাহিনী।
সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে মিয়ানমারের বিভিন্ন শহরেই বিক্ষোভ শুরু হয়।
বিক্ষোভকারীরা অং সান সু চিসহ বন্দী রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির পাশাপাশি সামরিক শাসন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছেন।