মোহাম্মদ বিপ্লব সরকার, চাঁদপুর প্রতিনিধি: বর্ষার মৌসৃম শুরু হতে না হতেই চাঁদপুরের নদ নদীর পানি অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে চাঁদপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে মানুষ পানি বন্ধি হয়ে পরেছে। চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধে প্রচন্ড স্রোতের তোর এসে আঘাত হানছে।
পুরান বাজার এলাকার শহর রক্ষা বাঁধ সবচেয়ে বেশি ঝুকিতে রয়েছে। গত তিন দিনে ডাকাতিয়া নদীর পানি বিপদ সীমার প্রায় ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। চাঁদপুর সদর উপজেলার ১৪ নং রাজরাজেশ্ব ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী হযরত আলী বেপারী জানান, রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের বেশির ভাগ গ্রাম এখন পানির নিচে তলিয়ে আছে।
এখানকার মানুষ পানি বন্ধী অবস্থায় রয়েছে। রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে রাজরাজেশ্বর, জাহাজমারা, লক্ষিরচর, বলিয়ারচর, শিলারচর, রাজারচর, রায়েরচর, গোয়াল নগর, মুগাদি, বাশগারি সহ বিভিন্ন গ্রাম জোয়ারের পানিতে তলিয়ে আছে। চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারী আরো বলেন, বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ সড়কটি পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে আছে। পদ্মা মেঘনার পানি বৃদ্ধির ফলে আবাদি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
কৃষকরা তাদের ফসল কেটে ঘরে তুলতে পারেনি। হানার চর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার রাঢ়ি বলেন, এ ইউনিয়নের মানুষ নদী ভাঙ্গনের হুমকির মুখে রয়েছে। পানি বৃদ্ধির ফলে ইউনিয়নের বিভিন্ন অংশে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড যদি দ্রুত ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা গ্রহন না করে তাহলে হানারচর ইউনিয়নে ব্যাপক হারে নদী ভাঙ্গনে মানুষ সহায় সম্বল হারাবে। চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ বাবুল আখতার বলেন,
বর্ষার মৌসুম শুরু হওয়ার সাথে সাথে পদ্মা মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ পানি জোয়ারের সময় বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।পুরান বাজার হরিসভা এলাকায় ভাঙ্গন রোধে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ নদীতে ফেলে ভাঙ্গন রোধে কাজ করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান,হানারচর ইউনিয়নে নদী ভাঙ্গনে ও দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।