পদ্মাসেতু এলাকা থেকে শরিয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে পদ্মাসেতুর ২৩তম স্প্যান ৩১ ও ৩২ নম্বর পিলারের উপর বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। আর এতে করে দৃশ্যমান হবে সেতুর ৩ হাজার ৪৫০ মিটার। ২২তম স্প্যান বসানোর ১০ দিনের মাথায় বসতে যাচ্ছে ২৩তম স্প্যানটি।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে স্প্যানটিকে নিয়ে যায় ‘তিয়ান ই’ ভাসমান ক্রেন। তবে ঘন্টাখানেক এর মধ্যে স্প্যানটি ওই পিলারের কাছে প্যেছে যায়।
প্রকৌশল সূত্রে জানা গেছে, স্প্যান বসানোর জন্য আগে থেকেই আনুষঙ্গিক কাজসমূহ সফলভাবে সম্পন্ন করা হবে। বর্তমানে স্প্যানটিকে পজিশনিং করে নির্ধারিত পিলারের কাছে নোঙর করার চেষ্টা চলছে। ইঞ্চি ইঞ্চি মেপে এরপর তোলা হবে পিলারের উচ্চতায়, রাখা হবে দুই পিলারের বেয়ারিংয়ের উপর।
পুরো সেতুতে ২ হাজার ৯৩১টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। আর রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে ২ হাজার ৯৫৯টি। পদ্মাসেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
পদ্মাসেতুর ৪২টি পিলারের মধ্যে কাজ শেষ হয়েছে ৩৭টি পিলারের। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।