মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (মুকুল), ডুমুরিয়া প্রতিনিধি: ডুমুরিয়া উপজেলার রোস্তমপুর গ্রামের একটি আম গাছ থেকে রবিবার দুপুরে মকবুল মোড়ল (৫৫) নামে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবার ও এলাকাবাসীর দাবি, মকবুলকে প্রতিপক্ষরা হত্যা করে বাড়ির পাশের আম গাছে তার লাশ দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে নিহতের পরিবার রবিবার সকাল ৮টার দিকে হত্যার কথা উল্লেখ করে ডুমুরিয়া থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ দুপুর ১ টার দিকে এসে গাছ থেকে লাশ নামায়। এমন ঘটনায় পুলিশের দেরিতে আসা নিয়ে রিতিমত হতভাগ এলাকাবাসী। অভিযোগে জানা যায়, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার রোস্তপুর গ্রামের মৃত.আব্বাস মোড়লের ছেলে মকবুল মোড়ল গত ২১ জুলাই পাশ্ববর্তী সরকারি বাহিনীতে কর্মরত ইউনুছ সরদারের বাড়িতে কাজ করতে যায়।
কাজ করার এক পর্যায়ে অসাবধানতাবশত তার হাতের কনইুয়ের আঘাত লাগে বাড়ির কত্রীর। এসময় তিনি মাটিতে পড়ে গেলে মকবুল তাকে তোলার চেষ্টা করে। বিষয়টি তিনি মোবাইলে তার স্বামী ইউনুছকে জানায়, মকবুল তাকে শ্লীলতাহানী করেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঐদিন ইউনুছের ছোট ভাই শিমুল সরদার ও তার লোকজন মকবুলকে ধরে বেদম মারপিঠ করে। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা তাকে তাদের হাত থেকে উদ্ধার করে।
পরে মকবুল মকবুল ভয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এদিকে ইউনুছ ছুটিতে বাড়িতে এসে মকবুলের নামে ডুমুরিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। তার মধ্যে মকবুলের পরিবার স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মিমাংশার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। এক পর্যায়ে ইউনুছ ক্ষিপ্ত হয়ে মকবুলের স্ত্রী ও ছেলেকেও মারপিট করেন। এক পর্যায়ে তিনি বিষয়টি মিমাংশার জন্য মকবুলকে হাজির করার প্রস্তাব দিলে তার কথা মত মকবুলের ছেলে লাভলু তার পিতাকে গত ২৫ জুলাই বাড়িতে নিয়ে আসে।
নিহতের ছেলে লাভলুর দাবি, ঐদিন রাতেই পরিবারের কাউকে না জানিয়ে মকবুলকে ডেকে ইউনুছের বাড়ির পাশে বাগানের ভিতরে নিয়ে তার ভাই ও স্ত্রী মকবুলকে হত্যা করে লাশ আম গাছে ঝুলিয়ে রাখে। এরপর বিষয়টি আত্নহত্যা বলে প্রচার দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ডুমুরিয়া থানা পুলিশ দুপুর ১টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে সুরোতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। এব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
এব্যাপারে ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম বিপ্লব জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। নিহতের ছেলে লাভলুসহ পরিবারের দাবি, মকবুলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তবে জড়িতরা প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনার পর থেকেই বিষয়টিকে ভিন্নখাতে নিতে ব্যাপক তদ্বির চালিয়ে যাচ্ছে। এব্যাপারে তারা প্রশাসনের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।