মোহাম্মদ বিপ্লব সরকার, চাঁদপুর প্রতিনিধি: চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়নে বাঁশ কাটাকে কেন্দ্র করে আপন ছোট ভাই ও তার স্ত্রী এবং ৩ ভাতিজাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করলো আপন বড় ভাই সেলিম তপাদার, ও তার ছেলে।
এতে সাবেক ইউপি সদস্য সহ একই পরিবারের ৫ জন গুরুতর আহত অবস্থায় চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। গত ২৮ এপ্রিল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টায় ওই ইউনিয়নের আলগী গ্রামের তপাদার বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ও মৃত ছোলেইমান তপাদারের ছেলে আবু রাসেল মোঃ হানিফ (৪৮), তার স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৪০), বড় ছেলে রায়হান সানি (২৫), মেঝো ছেলে সালমান জনি (২২) ও ছোট ছেলে স্কুলছাত্র তানভীর (১৪)। এদের প্রত্যের অবস্থা খুবই গুরতর।
আহতরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই মোঃ হানিফ তপাদারের সাথে তার বড় ভাই সেলিম তপাদারের পারিবারিক ভাবে বিরোধ চলে আসছিলো। সেলিম তপাদার আবু রাসেল মোঃ হানিফের আপন বড় ভাই। ঘটনার দিন সকালে সেলিম তপাদার কাউকে কিছু না বলেই হানিফ তপাদারের রোপিত বাঁশমুড়া থেকে একটি বাঁশ কেটে নেন। পরে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে হাফিনের বড় ছেলে সানি তার জেঠাকে বাঁশ কাটার বিষয়ে জিজ্ঞাস করতে গেলে তিনি উত্তেজিত হয়ে তার তাকে মারধর করতে শুরু করেন। এক পর্যায় সেলিম তপাদার ও তার ছেলে সানাউল্লা এবং স্ত্রী নাসিমা বেগম জড়ো হয়ে রাম দা এবং দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে সানিকে কোপাতে শুরু করেন।
এসময় সানির আত্মচিৎকার শুনে পরিবারের সকলে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তিনজন এলোপাতারি ভাবে তাদের ওপর কোপাতে থাকেন। সেলিম তপাদার ও তার পরিবারের এমন অতর্কিত হামলায় তারা শরীরের বিভিন্নস্থানে রক্তাক্ত জখম হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় অচেতন হয়ে পড়েন। পরে স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করায়।
এ বিষয়ে সেলিম তপাদারের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, বাঁশ নিয়ে নয়। তাদের সাথে একটি জমি নিয়েও বিরোধ রয়েছে। আমি বাঁশ কাটিনি বরং কয়েক দিন আগে ঝরে একটি বাঁশ পড়ে গেলে সেটি কেটে নেয়ার জন্য তাদেরকে কয়েকবার বলা হয়েছে। কিন্তু তারা তা কেটে নেননি। আমার ছেলে দু,তিন আগে ওই বাঁশের আগাটা কেটে পরিস্কার করেছে। সেজন্য তারা এসে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে শুধু তারা আহত হননি। আমরাও আহত হয়েছি।