মোঃ রাশেদ, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ গার্মেন্টস খোলার প্রথম দিন চরম দুর্ভোগে পড়েন শ্রমিকরা। নগরীর ইপিজেড থেকে বৃষ্টিতে ছাতা মাথায় বাসায় ফিরছেন হাজারো শ্রমিক।
চট্টগ্রামে বিজিএমই এবং বিকেএমইএ সদস্যভুক্ত পোশাক কারখানার সাড়ে তিন লাখ শ্রমিক মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে বেতন-ভাতা পাবেন। এরমধ্যে বিজিএমই’র শ্রমিক সংখ্যা আড়াইলাখ এবং বিকেএমইএ’র শ্রমিক সংখ্যা ১ লাখ। এসব শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের জন্য মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে।
বিজিএমইএ চট্টগ্রামের পরিচালক মোহাম্মদ আতিক এবং চট্টগ্রামের নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)’র সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, চট্টগ্রামে বিজিএমইএ সদস্যভুক্ত ২০৮ সদস্য প্রতিষ্ঠান সরকারি প্রণোদনার জন্য আবেদন করেছে। ইতিমধ্যে আড়াই লাখ শ্রমিকের মোবাইল একাউন্টে বেতন-ভাতা জমা হয়েছে। তবে বিজিএমইএ সদস্যভুক্ত কারখানার শ্রমিক সংখ্যা ৪ লাখ হলেও অনেক প্রতিষ্ঠান এখনো প্রণোদনার জন্য আবেদন করেনি। তাদের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের হিসাব নম্বরও জমা দেয়া হয়নি।
জানা গেছে, বিকেএমইএর সদস্যভুক্ত ১৩০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০০টি কারখানা চালু রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মোট শ্রমিক সংখ্যা দেড়লক্ষাধিক। এরমধ্যে ৮০টি প্রতিষ্ঠানের ১ লাখ শ্রমিকের মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব নম্বর জমা দেয়া হয়েছে। বাকি শ্রমিকদের হিসাব নম্বর জমা দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসে সরকারের নির্দেশনায় সারাদেশে পোশাক কারখানার সাড়ে ১২ লাখ শ্রমিকের জন্য মোবাইল ‘বিকাশ’ অ্যাকাউন্ট খুলেছে ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস।