নুরুল আমিন দুলাল ভূঁইয়া, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি: দেশী এবং বিদেশী চক্রান্তের বলি হতে যাচ্ছে কুয়েতে কর্মরত ২৫ হাজার শ্রমিক ! অনিশ্চয়তায় ভূগছে শ্রমিকরা, কে নিবে দায়ভার ? একটি অনুসন্ধানি প্রতিবেদনে জানা যায়,বিগত ১৫ বছর যাবৎ অত্যন্ত সুনাম ও সাফল্যের সাথে কুয়েতে “মারাফি কুয়েতিয়া”নামে একটি বৃহৎ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছিলেন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের জনপ্রিয় বর্তমান সাংসদ কাজী মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুল। উক্ত কোম্পানি ঈর্ষণীয় সাফল্য ও ভালো পারফরম্যান্সের জন্য বিগত ৩ মাস পূর্বেও কুয়েতের সি,আই,ডি কর্তৃক ‘গুড কন্ডাক্ট’ সনদ লাভ করে কোম্পানীটি। তাঁর এই প্রতিষ্ঠানে অতীতে কখনো কোন প্রকার সমস্যা ছিলোনা বা হয়নি।
গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে – যখনই তিনি নির্বাচনের উদ্দেশ্যে নমিনেশন চাইলেন তখন থেকেই একদল কুচক্রী মহল তাঁর বিরুদ্ধে দেশে- বিদেশে নানান ষড়যন্ত্র শুরু করে। এই ধারাবাহিকতায় শুরু হয় সকল চক্রান্ত এতে দেশীয় চক্রান্ত কারিরা বিদেশের ওই প্রতিহিংসা পরায়ন গোষ্ঠির সাথে হাত মিলায়ে বিভিন্ন ভাবে মিথ্যে অপবদনাম ও বস্তুুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন না করে কু-রুচিপূর্ণ ভিত্তিহীন মনগড়া সংবাদ পরিবেশন করে। তখনি দেশবিদেশে মিথ্যে সংবাদের কারনে মানববন্ধন সহ প্রতিবাদ সভা পালন করেন লক্ষ্মীপুর ২ আসনের সাধারন জনগন ও বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠন। উল্লেখ্য, তিনি এমপি হওয়ার পূর্বে থেকেই রায়পুর-লক্ষ্মীপুরে বিভিন্ন মানবিক ও আর্থসামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে খুবই স্বল্প সময়ে আপামর জনগণের অন্তরে যায়গা করে নেন।
এরই ধারাবাহিকতায় দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নমিনেশন না পেয়েও জনগনের অনুরোধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আপেল প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে নামেন তিনি। এর এক সপ্তাহের মধ্যেই মহাজোট প্রার্থী তার প্রার্থীতা বাতিল করেন এবং কাজী মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সমর্থন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হন। এমপি নির্বাচিত হয়ে তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকায় সকল প্রকার, দখলবাজি, চাঁদাবাজি, ও অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ করতে জোরালো ভূমিকা রাখেন এবং সফলও হন। সাধারন জনগন মনে করেন আর এই এমপি নির্বাচিত হওয়া এবং এইসব জননন্দিত কার্যক্রমই তাঁর জন্যে ডেকে আনে যতো বিপদ- তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্রের জাল ফেলতে থাকে একটি কুচক্রী মহল। কিন্তু কোনোভাবেই সফল হতে না পেরে অবশেষে কোন যায়গায় সুযোগ কাজে লাগাতে না পেরে অবশেষে কুয়েতের বৃহৎ কোম্পানি “মারাফি কুয়েতিয়ার” বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করতে শুরু করে।
যেখানে প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন এবং তার মধ্যে প্রায় ২০ হাজারই বাংলাদেশী। সেই ষড়যন্ত্রেরই অংশ হিসেবে কিছুদিন পূর্বে উনার কোম্পানির কিছু শ্রমিককে ভুল বুঝিয়ে প্ররোচনা দিয়ে “মারাফি কুয়েতিয়া” কোম্পানির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করান। যাতে লেখা ছিল তাদের ঠিকমতো বেতন দেওয়া হয়না এবং তাদের নিকট হইতে নাকি ভিসার মূল্য বেশি নেওয়া হয়েছে। অথচ কাজি শহিদ ইসলাম পাপুল কোন জনশক্তি রফতানির সাথে জড়িত নয়, এমন কি অভিযুক্তদের এই ভিসা সম্বন্ধে কোম্পানির সি,ই,ও এবং এমডি কাজী মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুল জানতেনই না। (কেননা, ভিসাগুলো বাংলাদেশের বিভিন্ন ট্রাভেলসে পাঠানো হলে তারাই লোকজন ম্যানেজ করে ভিসা বিক্রি ও প্রসেসিং করে শ্রমিক পাঠাতেন)। এই মিথ্যা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে কুয়েতের সি,আই,ডি সদর দপ্তর জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডেকে পাঠায় । আর এ নিয়েই সত্যতা যাচাই না করেই গণমাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তাঁর পরিবারের প্রশ্ন হচ্ছে গনমাধ্যমের ভুল তথ্যের কারনে যদি কোম্পানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে ২৫ হাজার শ্রমিকদের ক্ষতি সাধন হলে এর দায়ভার কে নিবে? পাশাপাশি সেখানে যদি কোম্পানিই না থাকে তাহলে শ্রমিক থাকবে কিভাবে? অবশ্যই কুয়েত সরকার তাদেরকে নিজ দেশেই ফেরত পাঠাবে। তখন কি সংবাদ মাধ্যম গুলো এবল অতি উৎসাহী অপপ্রচারকারীরা অসহায় পরিবারের ভরনপোষণের দায়িত্ব নেবেন? এমন ও হতে পারে এই মিথ্যা ষড়যন্ত্রের কারণে কুয়েত সরকার সকল বাংলাদেশীকেই দেশে ফেরত পাঠাবেন। আর এতে করে কি আমাদের দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবেনা? এখন প্রশ্ন থেকে যায় আমাদের দেশ কি বড় অংকের রেমিট্যান্স থেকে বঞ্চিত হবেনা? সংশ্লিষ্ট অপপ্রচার কারীরা কি এই বড় ধরনের ক্ষতির ও ফেরত আসা শ্রমিকদের দায়ভার গ্রহণ করবেন?