বর্তমানের নতুন ট্রেন্ড, ই-সিগারেট। ধূমপান ছাড়তে বেশিরভাগ যুবক যুবতীর হাতে এখন ভেপার।
সম্ভবত চায়নার রোয়ান নামক একটি কোম্পানি ২০১০ সালে বাজারে নিয়ে আসে এই ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস। এই ডিভাইসকে সময়মতন চার্জও দেওয়া যায়।
অনেকেই মনে করেন সাধারণ সিগারেটের তুলনায় এই ধরণের সিগারেটে ক্ষতি নুন্যতম। কিন্তু কিছু গবেষণা বলছে এই ধরণের সিগারেটেই বরং সাধারণ সিগারেটের তুলনায় ক্ষতি অনেক বেশি। এর ভিতরে থাকা প্রপিলাইন গ্লাইকল যখন বাস্পাকারে লাঙসের মধ্যে দিয়ে যায় তখন অনেক ধরণের সংক্রমণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ (CDC,Centers for Disease Control and Prevention) কেন্দ্রসমূহ জানিয়েছে যে দেশব্যাপী মারাত্মক বাষ্পীয় অসুস্থতার সংখ্যা আবার বেড়েছে।
নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনের একটি ২014 সালের গবেষণায় দেখা গেছে যে “ইলেকট্রনিক সিগারেটগুলি একটি ‘গেটওয়ে ড্রাগ’ হিসাবে কাজ করতে পারে যা মস্তিষ্ককে কঠিন ওষুধের জন্য বেশি গ্রহণযোগ্য হতে পারে।
জুলাই 2016 সালে এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় প্রচলিত সিগারেটের তুলনায় অনেক নিম্ন স্তরে সম্ভাব্য কার্সিনোজেন এবং উত্তেজক সহ বাষ্পে ক্ষতিকর নির্গমন সনাক্ত করা হয়েছে।
প্রতি বছর ধূমপান ক্যান্সার থেকে প্রায় 46,000 মৃত্যু এবং যুক্তরাজ্যের শ্বাসযন্ত্রের রোগ থেকে 28,000, এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের আনুমানিক ২0,000 মৃত্যু।
সুতরাং, ই-সিগারেটেও উড়িয়ে দেওয়া যায় না ক্যান্সারের আশঙ্কা।
* তামাকের বদলে থাকে:
ভিতরে থাকে ভেপার/অ্যারোসল যা টেনে ছাড়লে সিগারেটের ধোঁয়ার মতোই ‘ধোঁয়া’ বের হয় মুখ থেকে৷ সিগারেটের ডগায় থাকে এলইডি যা টান দিলেই জ্বলে ঠিক আগুনের মতো ।
এছাড়াও, অ্যারোসল, প্রোপিলিন গ্লাইকল, গ্লিসারিন ও নিকোটিনের ক্ষতিকারক প্রভাব সাধারণ সিগারেটের তামাকের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। বরং কিছু ক্ষেত্রে সামান্য হলেও বেশিই। রয়েছে নিকোটিন,প্রপিলাইন গ্লাইকল ও ফ্লেভার যুক্ত ই-অয়েল।অর্থাত্ সম্পূর্ণ নিকোটিন বর্জিত নয় ই-সিগারেট।এই বাস্পজাতীয় ধোঁয়া, যে আদতে কতটা নিরাপদ তা নিয়ে নানান জটিলতা রয়ছে চিকিত্সা মহলে।
* নেশা কী ভাবে:
ই-সিগারেটের মধ্যে থাকা অ্যারোসলে থাকে প্রোপিলিন গ্লাইকল, গ্লিসারিন, নিকোটিন ও সুগন্ধি৷ সিগারেটে টান দিলে সেই তরলই বাস্পায়িত হয়ে বের হয় ধোঁয়ার মতো৷ সিগারেট-বিড়ির মতোই নিকোটিন পৌঁছে যায় ফুসফুসে ৷
* কি কি সমস্যা হতে পারে:
-
যে সকল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া করতে পারে:
-
শারিরীক ও মানসিক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি
-
স্মৃতি শক্তির অবক্ষয়
-
ধীরে ধীরে চিন্তাশক্তি লোপ পায়
-
বমি বমি ভাব এবং বমি
-
হৃদস্পন্দনের গতি বাড়তে থাকা
-
অন্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকা