করোনা মোকাবেলায় সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সংকটের শুরু থেকেই তার বক্তব্য ও কর্মকান্ড বিতর্কের জন্ম দেয়। কাজের সমন্বয়হীনতা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের বক্তব্য ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অস্বাভাবিক ব্যয়ের চিত্র সামনে এলে তার অপসারণের দাবিও ওঠে সংসদে।
জাতীয় সংসদে দেয়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও একদিন পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের দেয়া একই বিষয়ে দুই তথ্য ছিলো দুই রকম।
এমন সমন্বয়হীন কর্মকান্ড আরো আছে। কোভিড-১৯ মোকলোয় জাতীয় কারিগরি কমিটির প্রধান হয়েও তিনি প্রকাশ্যে বলেন কি হচ্ছে তিনি কিছুই জানেন না। মৃতের সংখ্যা নিয়েও মন্ত্রী ও অধিদফতরের তথ্যে গড়মিল।
করোনা সংক্রমণ চীনে ভয়াবহ হয়ে ওঠার পরও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক মার্চের শুরুতেই বলেছিলেন আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সব প্রস্তুতি আছে। কিন্তু ডাক্তার নার্স স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা সামগ্রী না পাওয়াসহ স্বাস্থ্যখাতের নানা অব্যবস্থপনার চিত্র প্রকাশ পায় দেশবাসীর সামনে। যা সরকার প্রধানের নজড়েও আসে।
এমন দুর্যোগে স্বাস্থ্যসেবার মত গুরুত্বপূর্ন মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দেয়ার দাবি ওঠে সংসদের ভিতরে বাইরে।
গত বছর দেশে ডেঙ্গু রোগের প্রার্দভাবের সময় স্বপরিবারে আনন্দ ভ্রমনে মালয়েশিয়া যওয়ায় কড়া সমালোনায় পড়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।