ইরানের সামরিক বাহিনীর ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়। এবং এই ঘটনা ভুলবশত বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে ইরান।
বিশ্বব্যাপী চাপের মুখে এ তথ্য স্বীকার করেছে ইরানের সেনাবাহিনী। জানায়, ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাটিতে হামলার সময় বিমানটি বিপদজনক এলাকায় প্রবেশ করলে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছে ইরান। ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে ক্ষেপনাস্ত্র প্রযুক্তির উন্নয়নের ঘোষনাও দিয়েছে দেশটি। এছাড়া, জড়িতদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসার কথাও জানিয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনের বরাতে জানানো হয়েছে, গত বুধবার তেহরানের ইমাম খামেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের ৩ মিনিট পর ইউক্রেনের যাত্রীবহী বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমানটি ভূপাতিত করে ইরানের সামরিক বাহিনী। তবে তারা দাবি করছে, ভুলে বিমানটি ভূপাতিত করে তাদের বাহিনী।
বিমানটিতে থাকা অধিকাংশ আরোহীই ইরানি এবং ইরানি বংশোদ্ভূত কানাডীয় নাগরিক। নিহতদের মধ্যে ৮২ জন ইরানি, ৬৩ জন কানাডীয়, ১০ জন সুইডেনের, চারজন আফগানিস্তানের, তিনজন জার্মানির এবং তিনজন ব্রিটেনের নাগরিক। অপরদিকে নয় ক্রুসহ ১১ জন ইউক্রেনের নাগরিক নিহত হয়েছেন।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও পশ্চিমা গোয়েন্দারা দাবি করেন মিসাইল হামলাতেই ভেঙে পড়ছে ইউক্রেনের বিমান। তবে তাদের মতে, এ হামলা ইচ্ছাকৃত ছিল না। এ বিষয়ে নতুন একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস ও সিএনএন।
গত বুধবার ইরাকে মার্কিন ঘাটিতে দফায় দফায় হামলা চালায়, ইরানের সামরিক বাহিনী। তবে, ভোর-রাতে তেহরান থেকে উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়, কিয়েভগামী ইউক্রেনের যাত্রীবাহী একটি বিমান। যেখানে ইউক্রেন, কানাডা, ইরানসহ বেশ কয়েকটি দেশের ১৭৬ আরোহীর সবাই নিহত হন।
সেসময় ইরান ও ইউক্রেন থেকে যান্ত্রিক ত্রুটির কথা হলেও; ২৪ ঘণ্টা না পেরুতেই ইউক্রেন থেকে বিধ্বস্তের কারণ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে, বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার নতুন ভিডিও প্রকাশ করে, মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস ও সিএনএন। তারা একে সঠিক ভিডিও বলে দাবিও করে। জানায়, রাশিয়ার তৈরি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই বিধ্বস্ত হয় বিমানটি।
কানাডার ও ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এবং ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। এমন গোয়েন্দা তথ্য ও প্রমাণ রয়েছে, তাদের কাছে। তবে, এটি ভুলবশত ছিল।