মোঃ রাশেদ, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় মানুষ যেখানে দিন দিন আধুনিক হয় সেখানে কিছু কিছু মানুষ প্রযুক্তিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করে। কিন্তু সে ভুলে যায় সে নিজের জাতি তথা পৃথিবীর আবিষ্কারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করে। এ যুদ্ধ ক্ষনিকের।
অপরাধী যত বড়ই শক্তিশালী হোক না কেন, তাকে একদিন আইনের আওতায় আসতে হবে। আহসান হাবিবকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানতে পেরেছে পুলিশ। ২৪ বছর বয়সী আহসান হাবিব। উচ্চ মাধ্যমিক পাস। জীবিকার তাগিদে রিয়াজউদ্দিন বাজার এলাকায় মোবাইল মেরামতের দোকানে চাকরি নিয়েছিলেন। কয়েক বছর চাকরি করে আয়ত্ব করেছেন কীভাবে মোবাইল মেরামত করতে হয়। মোবাইল মেরামতের কাজ শিখতে গিয়ে নিজ উদ্যোগে শিখেছেন মোবাইল সংক্রান্ত সফটওয়্যারের নানা কাজ।
রিয়াজউদ্দিন বাজার এলাকায় আসা বিভিন্ন চোরাই মোবাইল ও বিদেশ থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা মোবাইলের লক খোলা ও আইএমইআই পরিবর্তনের কৌশলও আয়ত্ব করেন। অপরাধ কাজে ব্যবহৃত মোবাইল, মিসিং/চুরির মোবাইল মূহুর্তের মধ্যেই পরিবর্তন করতেন তিনি। অনেকেই মোবাইল হারিয়ে পুলিশের কাছে ছুটেন, আসলে বাস্তবতা যে কতই কঠিন কেবল তা পুলিশেই জানে যখন সে কোনো হারানো মোবাইল উদ্ধারের চেষ্টা করেন। আর যদি কখনোই এ রকম কোনো ব্যক্তির নিকট আপনার মোবাইল ফোনটি চলে আসে তাহলে আপনাকে মোবাইল উদ্ধারের আশা ছেড়ে দিতে হবে।
প্রতিটি মোবাইলের একটি নিজস্ব IMEI নাম্বার আছে। ইহা যদি পরিবর্তন হয়ে যায় তাহলে এ ধরনের ডিভাইস উদ্ধার পুলিশের জন্য খুবই কষ্টসাধ্য। এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী এ কাজটি করছে। মাত্র ৩০ মিনিটের ভেতর একটি মোবাইলের লক খুলে তার আইএমইআই পরিবর্তন ও অন্যান্য পরিবর্তনের মাধ্যমে একটি মোবাইলে পরিচয় চেঞ্জ করে ফেলতে পারে আহসান হাবিব। শুরুতে মোবাইল মেরামতের দোকানে চাকরি করতো। পরে মেরামতের কাজ শেখার পাশাপাশি নিজ উদ্যোগে ডিভাইস জালিয়াতির কাজও আয়ত্ব করে। অনেক দিন ধরে এসব কাজ করে আসছে।রিয়াজউদ্দিন বাজার কেন্দ্রিক চোরাই ও ছিনতাই হওয়া মোবাইল এবং বিদেশ থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা মোবাইল কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত অন্তত ২৫ ব্যবসায়ীর বিষয়ে জানতে পেরেছে পুলিশ। তাদের বিস্তারিত সংগ্রহ করছে পুলিশ।