মাহাবুব হাসান হৃদয়, সংযুক্ত আরব আমিরাত: তাফ-হিম সেন্টারটি আমিরাতের রাজ পরিবারের মহামান্য শেখ সাঈদ বিন হাশর আল মাকতুমের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন নিশ্চিত করার লক্ষে স্বল্প ব্যয়ে অভিবাসন এবং নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রচারের কাজ করে থাকে। তাফ-হিম প্রতিষ্ঠানটি শুধুমাত্র নিয়োগকারীদের প্রশিক্ষণ এর জন্য অর্থ প্রদানে উৎসাহিত করে না, এটি প্রবাসীদের ব্যয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশে প্রেরিত বৈদেশিক মুদ্রা স্থানীয় অর্থনীতিতে ব্যবহার করবে।
বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশী প্রবাসীদের বৃহত্তম একটি অংশ মধ্য প্রাচ্যে অবস্থান করে। গত পাঁচ বৎসরে কমপক্ষে ৫ (পাঁচ লক্ষ) বাংলাদেশী প্রতি বছর বিভিন্ন দেশে গেছেন এবং ২০১৪ সালে ১০ (দশ লক্ষ) এর অধিক। বাংলাদেশী অভিবাসীদের শীর্ষদেশ সমূহের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া এবং ভারত। বিদেশে ৩৯,৭৫,৫৫০ জন বাংলাদেশির মধ্যে ২৮,২০,০০০ মধ্যপ্রাচ্যে বসবাস করে যা মধ্য প্রচ্যের জনগনের ০.০৭৫ শতাংশ।
বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধমান অর্থনীতি হচ্ছে বাংলাদেশের বাজার ভিত্তিক অর্থনীতি। বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিতে বৈদেশিক মুদ্রা ক্রমবর্ধমান হারে এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, অর্থনৈতিক বিকাশ এবং স্বল্প সমৃদ্ব মানুষের জীবনযাত্রায় অবদান রাখছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি জোরদার করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে প্রবাসীদের নিকট থেকে বৈদেশিক মুদ্রা। বাংলাদেশী ও সংযুক্ত আরব আমিরাত দুই দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কাজ করে যাচ্ছেন। অনাবাসী বাংলাদেশীদের বৈদেশিক মুদ্রা বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভগুলির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ হিসাবে রয়েছে।
২০১২-১৩ অর্থবছরে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ ছিল ২,৮২৯ (মিলিয়ন মার্কিন ডলার), ২০১৪-১৫ সালে ২,৮২৩ মিলিয়ন ডলার এবং ২০১৬-২০১৭ সালে তা হ্রাস পেয়ে ২০৯৩ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু গত ৩ বছরে বৈদেশিক মুদ্রা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে ২০১৮ সালে ২,৪২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০১৯ সালে ২,৫৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
অভিবাসী ও প্রবাসীরা যে পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশে পাঠিয়েছেন তার নব্বই শতাংশ দশটি দেশ থেকে আসে।একমাত্র পঁচাশি শতাংশ মধ্যপ্রাচ্য দেশ সমূহ থেকে আসে। সংযুক্ত আরব আমিরাত ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত প্রায় ১,৭৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অবদান রেখেছিল। ”তাফ-হিম” প্রতিষ্ঠানটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংহতকরণের একটি গুরু ত্বপূর্ণ উপাদান। যা শ্রমিকদের অধিকার, স্থানীয় আইন এবং অভিবাসন ব্যয়ের বিষয়ে জানানো যাতে করে অভিবাসন ব্যয় হ্রাস করা। সুতরাং এক্ষেত্রে শ্রমি কদের অর্জিত অর্থ বাংলাদেশে প্রেরণ করে তারা তাদের অভিবাসন ঋণ পরিশোধ করে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাকতেপারে।”তাফহিম”অভিবাস নের স্বল্প ব্যয়কে সমর্থন করে,অভিবাসন খরচ থেকে ঋণ হ্রাস পেলে বাংলাদে শের জিডিপি বৃদ্ধি পাবে।এটি তাফ-হিম এর মূল উদ্যাশ।
এ দিকে “তাফ-হিম”চেয়ারম্যান জানান করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় আমরা বাংলাদেশ সরকারের পাশে থাকতে চাই।তাই আমরা বাংলাদেশের (বিএমইটি) আওতাভুক্ত ৭০টি ট্রেনিং সেন্টারে কোভিড-১৯ টেস্ট ও সনদ, ম্যাক্স বিনামূল্যে আগামী এক বছর প্রদান করবো যা শুধুমাত্র বিভিন্ন দেশে কর্ম ইচ্ছুক বাংলাদেশীদের জন্য “তাফ-হিম” এর চেয়ারম্যান মান্যবর শেখ সাঈদ বিন হাশর আল মাকতুম, উনার পিতা মান্যবর হাশর আল মাকতুম,বাংলাদেশের মাননীয় প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ও বৈদেশিক মন্ত্রী মোহাম্মদ ইমরান আহমেদ,বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল দুবাই এর মান্যবর কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন খান,প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন সচিব নাসরিন জাহান,লেবার কাউন্সিলার ফাতেমা জাহান।
“তাফ-হিম” এর উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল সম্প্রতি মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এমপি ও মাননীয় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এমপি এর সাথে অভিবাসন ব্যয় হ্রাস ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বিষয়ে আলোচনা করেন।