আচার ব্যবহারে ছাত্রলীগকে জনগণের আস্থা অর্জনের কথা বললেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। আগামী দিনে ছাত্রলীগ জাতির পিতার নীতি আদর্শ নিয়ে চলবে এমনটাই প্রত্যাশা ও করেন তিনি।
সারাদেশের ১১১টি সাংগঠনিক জেলার বর্তমান ও সাবেক নেতাদের উপস্থিতিতে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন আওয়ামী সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে জাতীয় সংগীতের সাথে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন উড়িয়ে এ আয়োজনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরেন শিল্পীরা।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, বাঙালির প্রতিটি অর্জন, এমনকি মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের তালিকায়ও ছাত্রলীগের আত্মত্যাগের ইতিহাস বেশি। এমন একটি সুসংগঠিত সংগঠন ছিলো বলেই বঙ্গবন্ধু একটি প্রদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র করতে পেরেছিলেন।
ভাষা আন্দোলনের সূচনা থেকে বাঙালির মুক্তিরসনদ ছয়দফা ও সত্তরের নির্বাচন এমনকি পঁচাত্তরের পর শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোনকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে প্রথম তোলা হয়েছে বলে জানান শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, নীতি-আদর্শ ও সততা ছাড়া নেতৃত্ব দেশের জন্য কিছু দিতে পারে না। তাই অতীতের ঐতিহ্য স্মরণ রেখে নিজেদের কর্মকান্ডে দেশ ও জাতির আস্থা অর্জন করতে ছাত্রলীগকে নির্দেশনা দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে পূর্ণাঙ্গ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।